সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের হোস্টেলে নববধু ধর্ষণের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে (১২ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১০তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। এ ছাড়াও সভায় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ছাত্রত্ব বাতিল হওয়া চার শিক্ষার্থী হলেন বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত ছাত্র সাইফুর রহমান (২৮)। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২৯৪৯৪১৩, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫)। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৬৩১১০২৩১৪২, বিএসএস ডিগ্রি পাস কোর্সের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম (২৫)। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১৩১০২০৫১২৪৮ ও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্স ফাইনাল বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান (২৫)। রেজিস্ট্রেমন নম্বর ১৭৩১১০২৪৪৮৪।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে ওই তরুণীর স্বামী শাহপরান থানায় মামলা করেন। এই ঘটনা তদন্তে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্তে ওই চার শিক্ষার্থীর ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাদের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।
মঙ্গলবার সকালে বিস্বিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচারক মো. ফয়জুল করিম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।