প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিশুরা যেন আবার নিজেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে, সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে।
আমাদের শিশুরা স্কুলে যেতে পারবে। তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আজ রোববার গণভবন থেকে মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স এবং সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্সের স্নাতক অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, সরকার কোভিড-১৯–এর জন্য স্কুল খুলতে পারছে না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বোপরি শিশুরা যদি তাদের স্কুলে যেতে না পারে, তবে এটি তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। তিনি আবারও করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান বক্তব্য দেন।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল–কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে। তা ছাড়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। বর্তমানে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু হয়ে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খুলে দেওয়া হয়নি।