করোনা সংকট মোকাবিলায় চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশে ২৮ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী বা পিপিই উপহার দিয়েছে শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। প্রায় দুই কোটি সাতাশ লক্ষ টাকা সমমূল্যের এই প্যাকেজে মানসম্পন্ন এন৯৫ মাস্ক ও গগল্স ছাড়াও সম্পূর্ণ প্রতিরোধমূলক পোশাক রয়েছে। দেশে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকদের মধ্যে এ সামগ্রীগুলো বিতরণ করা হবে।
গতকাল ২৭ মে, বুধবার; এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুইস রেড ক্রস এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিদের কাছে পিপিইগুলো তুলে দেন নোভারটিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. রিয়াদ মামুন প্রধানী।
এ সময় ডা. রিয়াদ মামুন প্রধানী বলেন, ’করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশব্যাপী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ সে উদ্যোগের অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। রোগী এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তাকে নোভারটিস সবসময়ই অগ্রাধিকার দিয়েছে। তাই করোনা সংকট মোকাবিলা করতেও আমরা স্বক্রিয়।’
সুইস রেডক্রস এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ অমিতাভ শর্মা বলেন, ’করোনা মহামারীর প্রভাব মোকাবিলা করার জন্য ভিন্ন মাত্রার সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে নতুন ধরণের সহযোগিতার মডেল সৃষ্টি করার প্রয়োজন হয়েছে। তাই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত চিকিৎসকদের জন্য এ সাহায্য দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুইস রেডক্রস বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ অমিতাভ শর্মা, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, ডেপুটি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, কান্ট্রি হেড অফ সান্ডোজ পাওলো আগবোতনু। এদিকে নোভারটিস বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন হেড অফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স শেখ আব্দুল গনি, পরিচালক (অর্থ) ফাহমিদ ওয়াসিক আলী, হেড অফ টঙ্গী প্ল্যান্ট মশিউল ইসলাম, হেড অফ লিগ্যাল সুমাইয়া সাদিয়া হুদা প্রমুখ।
করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে নোভারটিস। তাই ওষুধের সংকট রোধ ও নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ লক্ষ্যে টঙ্গীতে অবস্থিত ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে কর্মীদের জন্য অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা এবং হোম ডেলিভারির মাধ্যমে ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে নোভারটিস।