বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে “পুঁজিবাজারে কোভিড-১৯ এর প্রভাব, বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা” বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ০৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০:৩০ থেকে দুপুর ১:১০ পর্যন্ত অনলাইনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, “পুঁজিবাজার টিকে থাকে বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে। বিনিয়োগকারীদের সচেতন করতে বিনিয়োগ শিক্ষাও গুরুত্বপূর্র্ণ। বর্তমানে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন পুঁজিবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”
সভায় “বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব” বিষয়ক আলোচনায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, “গুজবে কান না দিয়ে বিনিয়োগকারীদের উচিত হবে জেনে বুঝে ভালো শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা। এটা করতে পারলে এখান থেকে সহজেই রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।” বিআইসিএমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বিনিয়োগকারীদের এডুকেটেড করতে বিআইসিএম ইতোমধ্যেই ভালো কিছু কোর্স ডিজাইন করেছে। ডিপ্লোমার পাশাপাশি মাস্টার্স প্রোগ্রামও চালু করছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।”
ইন্সটিটিউটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার জনাব আসিফ ইমরানের সঞ্চালনায়, “নিয়ন্ত্রকের দৃষ্টিকোন থেকে বিনিয়োগকারীর সুরক্ষার গুরুত্ব” বিষয়ক সেশন পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র দেবনাথ, এফসিএমএ, সিজিআইএ, পরিচালক-স্টাডিজ, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট; “বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব” বিষয়ক সেশনটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান এবং “পুঁজিবাজারে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব” বিষয়ক সেশনটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের সহকারী অধ্যাপক জনাব সাফায়েদুজ্জামান খান।
আলোচনায় অংশগ্রহ্ণণকারীদের মধ্যে রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও, গবেষক, শিক্ষক, এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন আলোচকবৃন্দ। তারা বলেন, এরকম আলোচনা সভার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয় উন্মোচিত হয়, যা নিতি-নির্ধারনী পর্যায়েও কাজে আসবে।