শুক্রবার, ২৭ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ওয়েবেনার জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতির স্বাধিকার আন্দোলনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। পাকিস্তান আমলে বাঙালী জাতি বিভিন্নভাবে শোষণ ও বঞ্চণার শিকার হয়। এ সকল বৈষম্য থেকে পরিত্রাণ পেতে বঙ্গবন্ধু ধারাবাহিকভাবে শাষকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। ক্রমান্বয়ে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেন স্বাধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে। আজকের আলোচনায় দিনাজপুর থেকে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন গোলাম মুর্শেদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে সামনে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান।
শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী জনাব দেওয়ান নুসরাত জাহান। তিনি বঙ্গবন্ধুর শিল্পভাবনা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বঙ্গবন্ধু কৃষিকে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু চা শিল্পসহ ও অন্যান্য শিল্পের উন্নয়নের জন্য নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
আজকের আলোচনা সভায় রয়েল ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ -এর বিভাগীয় প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক ও সাংবাদিক জনাব দিপু সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশ ৯ মাসের মধ্যে স্বাধীনতা লাভ করে। চাঁদপুর থেকে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন মোঃ মাসুদ আলম মিল্টন। তিনি বলেন, পলাশীতে যে খুনের রাজনীতি শুরু হয়েছে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে জাতি নব্য মীরজাফর দেখতে পেয়েছে। ঘাতকদের খুনের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিশীলিত হবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক জনাব কাজী নেওয়াজ মোস্তফা জানিপপ-এর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো বেশি পরিমাণে গবেষণা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার, লেখক, ও গবেষক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা সংস্কার নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। জনাব রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু হওয়ার পাশাপাশি ১৯৭২ সালে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গুণগত শিক্ষা প্রদান ও সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ‘বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’ জারি করে এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করেন।
জানিপপ ন্যাশনাল ভলেনটিয়ার ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রভাষক মোঃ কামাল উদ্দিন সকল শহীদের মাগফেরাত কামনা করেন।