দি বাংলাদেশ পারসপেক্টটিভ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রবন্ধ উপ¯’াপন করেন।ড. সেলিম তার প্রবন্ধে বলেন বিরাজমান কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী এক অস্বাভাবিক বৈশ্বিক পরি¯ি’তির উদ্ভব হয়েছে। সংকটের এই সময়কাল কত দীর্ঘায়িত হবে, অর্থনীতি ও ব্যবসায়ের উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং পরিমাণ কেমন হবে তা নিয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি ব্যবসায়ের উপর কোভিড এর প্রভাব, বিক্রয় ও ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জসমূহ, টেক্সটাইল, পর্যটন, ফার্মাসিউটিক্যালস, আমদানি-রপ্তানী, এসএমই, স্ট্যার্টআপ ব্যবসা, শিল্পের উৎপাদন, ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের উৎপাদন, রাজস্ব খাত, রেমিট্যান্স এবং ঋণ প্রবৃদ্ধির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জসমূহ আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী নিউ নরমালের জন্য ভাবতে হবে; প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। পুরাতন উপায়গুলো পুনরায় ফিরে আসবে এমন ধারণা পরিহার করেস ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পুনর“দ্ধার; পরবর্তী নিউ নরমাল দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্তমূলক ব্যব¯’া গ্রহণ, বিভিন্ন সং¯’ার ডিজিটাল দক্ষতা ত্বরান্বিত করণ, গ্রাহকের প্রত্যাশা পরিবর্তনের দিকে মনোনিবেশ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরী করতে হবে। বিক্রয় পুনর“দ্ধার, কার্যক্রম পুনর্ণিমাণ, কাজের পুনর্বিবেচনা ও ডিজিটাল সমাধান গ্রহণকে ত্বরান্বিত করে ২০২১ সালের শুর“র দিকে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মাহামারি দ্বিতীয় প্রভাব এর কথা স্মরণ রাখতে হবে। প্রবন্ধে আত্মবিশ্বাস হবে পুনর“দ্ধারের মূলমন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন। অর্থনীতিকে পুনর“জ্জীবিত করার জন্য সম্মিলিতভাবে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। ড. সেলিম বলেন আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে ক্ষতিগ্র¯’ খাতগুলো হলো পর্যটন, টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ফুটওয়্যার, লেদার এবং নির্মাণশিল্প। কোভিড-১৯ এর প্রভাবে হাস-মুরগী, দুগ্ধ, মৎস চাষের চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে সংশ্লিষ্ট খাতের মূল্যমান হ্রাস পেয়েছে। ড. সেলিম আরো বলেন যে, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে গার্মেন্টস শ্রমিক ও মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকরা চাকুরি হারিয়েছেন। ফলশ্র“তিতে, কোন আয়ের উৎস ছাড়াই বিপুল সংখ্যক লোক শহর থেকে গ্রামে চলে গিয়েছিল যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে একটি দুর্বল অব¯’ানের দিকে ঠেলে দেয়। ডিজিটাল অর্থনীতি, মুদ্রা রহিতকরণ, বিশ্বব্যাপী সাপ্লাই চেইনগুলো পুনরায় বিন্যাসকরণ, নীতি সংস্কার, মূলধন তারল্যের অগ্রধাবন ও চাকুরীর ধরণ
প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, বিগত ছয় মাসে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সাপ্লাই চেইন পুনর্গঠন করেছে, দূরবর্তী কার্যক্রম ¯’াপন করেছে এবং কঠোর আর্থিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যতক্ষণপর্যন্ত একটি কার্যকর ও সহজলভ্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া না করে কাজ করার মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংগঠনগুলোকে পুনরায় সংহত করতে হবে।