গত ৫ বছরে (২০১৭-২০২২) বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ১৩.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, অপরদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে তাদের বার্ষিক আমদানি বেড়েছে ৪.৫০ শতাংশ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ পোশাক আমদানিকারক দেশ। পোশাক আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রধান উৎস দেশ সে অবস্থান অক্ষুন্ন রয়েছে, যা দেশটির মোট আমদানির ৯. ৭৫ শতাংশ। ২০২১ সালে এটি ছিল ৮.৭৬ শতাংশ।
২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বস্ত্র আমদানি বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৬.৩৮ শতাংশে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ৯.৭৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৭.১৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৮ সালে ছিল ৫.৪০বিলিয়ন ডলার মূল্যের। বিজিএমইএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি বর্গ মিটার পরিমাপক (এসএমই) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে বছরে ২০.৬৫ শতাংশ পোশাক আমদানি করেছে, যা ২০২১ সালের ২.৬০ বিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ৩.১৪ বিলিয়ন এসএমই’তে পৌছে। অপরদিকে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি পরিমাপক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ৩.১১ শতাংশ কমেছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুখ হাসান বলেন,যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানিতে বাংলাদেশের শেয়ার মাত্র ৯.৭৫ শতাংশ, তাই এই শেয়ার আরো বাড়ানোর বিরাট সুযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, অতি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জিন্সের কাপড় আমদানিতে বাংলাদেশ শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে।
-বাসস