কোভিড নাইনটিনের কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে চাইল্ড সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে চিন্তা করছে। যারা প্রত্যেক স্কুলে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকাকে মানসিক সমস্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে যেন শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রত্যেক জেলায় একজন করে চাইল্ড সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে চাইল্ড সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা হবে।
ডা. দীপু মনি আজ শনিবার সিআরআই এবং ইয়ং বাংলার আয়োজনে লেটস টক অন ইয়ুথ এডোকেশন এন্ড স্কিলস শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন, আমাদের যুব সমাজ খুবই সংবেদনশীল। তাদের মনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের জন্ম নেয়। পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানির ও শিকার হয়। এইজন্য তার বিভিন্ন রকমের মানসিক সমস্যায় ভোগে। যেমন বিষন্নতা ও হতাশা। ফলশ্রুতিতে অনেক সময় তারা আত্মহত্যার মত পদ্ধতি ও বেছে নেয়।
আলোচনায় আরো যুক্ত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান সহ অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ও শিক্ষার্থী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সবার জন্য উচ্চশিক্ষা প্রয়োজন কিনা তা ভাবার সময় এসেছে।
প্রতিবছর ২০ থেকে ২৬ লক্ষ তরুণ শ্রমবাজারে যুক্ত হচ্ছে। এ বিপুল সংখ্যক তরুণ শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ হয়ে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে কিনা তা দেখার সময় এসেছে। আমাদের জাতীয় স্বপ্ন ২০৪১ সালের উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক কমিটমেন্ট এসডিজি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মানসম্মত ও দক্ষতা নির্ভর কারিগরি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকার কারিগরি শিক্ষাকে মেইনস্ট্রিমিং করার লক্ষ্যে নবম ও দশম শ্রেণীতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একটি করে ট্রেড কোর্স বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনা গ্রহণ কর
সূত্র:মানবজমিন