বাংলাদেশে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিমকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে শিক্ষকদের সংগঠনগুলো।
প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এবং সবগুলো সমিতির ফেডারেশন এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বিবৃতি দিয়েছে।
সরকারের এ সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছে উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদও।
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে মূলত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে, উপাচার্য পদের দায়িত্ব পান প্রধানত অধ্যাপক পদমর্যাদার শিক্ষকরা।
উপাচার্য বা ভাইস-চ্যান্সেলর পদটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহীর পদ।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যকে দায়িত্ব দেওয়ার পর শিক্ষকদের সংগঠনগুলো বলছে, “উপাচার্যের শূন্য পদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়ার ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি”।
আবার কোনো কোনো শিক্ষক সমিতি বলেছে যে এ ধরণের আদেশ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ধারণার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণই নয়, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদের প্রতিও অবমাননাকর।
তবে শেরেবাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সংগঠনগুলো।
অবশ্য বিতর্কের রাশ টানতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের পদ খালি থাকায় রুটিন কাজের জন্য রেজিস্ট্রারকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং শিগগিরই নিয়মমাফিক উপাচার্যসহ অন্যদের নিয়োগ দেয়া হবে।
বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে মোট সাইত্রিশটি, অর্থাৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জনগণের করের অর্থে পরিচালিত হয়।
শেরেবাংলা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও কর্তব্যরত রেজিস্ট্রারকে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে, যে সিদ্ধান্তে ‘আনন্দ প্রকাশ’ করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সংগঠন।
— বিবিসি বাংলা।