মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর কার্টুন দেখানো ও মুসলিম জঙ্গির হাতে এক শিক্ষকের মাথা কাটা ঘিরে উত্তপ্ত গোটা বিশ্ব। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ মুসলিম মৌলবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ডাক দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে ম্যাখোঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, এই বিতর্কে বিনা প্রশ্নে ফ্রান্সের পাশে রয়েছে তারা।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে,যেভাবে ন্যূনতম আন্তর্জাতিক রীতিনীতি না মেনে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ে ম্যাখোঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হল, আমরা তার তীব্র নিন্দা করছি। যে ভয়াবহভাবে এক ফরাসি শিক্ষকের মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে সেই জঘন্যতম জঙ্গি হামলায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। মৃত শিক্ষকের পরিবার ও ফ্রান্সের মানুষের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। ভারতে কর্মরত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইমানুয়েল লেনাইন এ জন্য দিল্লিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত ও ফ্রান্স সব সময় পরস্পরের পাশে রয়েছে।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে পড়াতে গিয়ে স্যামুয়েল প্যাটি নামে ৪৭ বছর বয়স্ক ওই স্কুল শিক্ষক ক্লাসে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)কে নিয়ে কার্টুন দেখান। এতে ১৮ বছরের এক চেচেন তরুণ ওই শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করে।
ভারতের মত নেদারল্যান্ডসও এসে দাঁড়িয়েছে ফ্রান্সের পাশে। প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে টুইট করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন তা মানা যায় না। নেদারল্যান্ডস সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সের পাশে আছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূল্যবোধকে সমর্থন করি আমরা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে, গোঁড়ামি ও কট্টরপন্থার বিরুদ্ধে।
একইসাথে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, আমরা ফরাসি বন্ধুদের পাশে আছি। ফ্রান্স সম্পর্কে তুরস্কের মন্তব্য কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান দিতেই হবে।
সূএ:কালের কন্ঠ