আমাদের জুলাই বিপ্লবের সম্মিলিত চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। এটি বাংলাদেশ ২.০। এটা আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের দেশ, আমাদের বাঁচতে হবে, আমাদেরকেই আমাদের মানুষকে বাঁচাতে হবে।
—- সামিয়া জাহান শেফা
১.
বাংলাদেশের বিরাট অংশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশের পূর্ব, দক্ষিণ পূর্ব ও উত্তরের অন্তত ১৩ টি জেলায় আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দি হয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ। ফেনীবাসী এমন বন্যা কখনো দেখেনি। সবচেয়ে বড় কথা এই অঞ্চলে এমন বন্যা হয়নি বহুদিন। অনেকদিন ধরে বন্যা না হওয়া এই অঞ্চলগুলোতে আকস্মিক বন্যায় করুণ অবস্থা। ফেনীর পরিস্থিতি-বিশেষ করে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায়-কে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করা হয়েছে, প্রায় প্রতিটি ঘরই জলমগ্ন। স্রোতের তীব্রতা অনেক। উদ্ধারকাজ করতে লাগছে হেলিকপ্টার ও। কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। সেখানকার মানুষ বলছেন, এর আগে গোমতিতে এত তীব্র স্রোত তারা কখনো দেখেননি। তিতাস উপজেলার আসমানিয়া বাজারে স্থানীয়ভাবে কাঠ ও স্টিল দিয়ে করা সেতুটি পর্যন্ত পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় নিহত অন্তত ১৫ জন ।
এই বন্যার দায় তাহলে কার? সক্রিয় মৌসুমী বায়ু আর লঘুচাপের কারণে চলতি মাসের শুরুতেই বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ছিলো। অতিবৃষ্টি ঐ অঞ্চলগুলোতে বন্যার একটি বড় কারণ। কিন্ত নিশ্চিতভাবেই একমাত্র কারণ নয়। আমাদের দেশে যত বন্যা হয়, সেটি মূলত উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বন্যা হয়। উজানের পানি ভাটিতে নামবে, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। বাংলাদেশ ভাটির দেশ। কিন্ত ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার একটি অঞ্চলে রাতারাতি যে পানির স্রোত, এটা স্বাভাবিক না। কোনরকম আগাম সতর্কতা ছাড়া ভারতের ত্রিপুরায় গোমতী নদীর ওপরে অবস্থিত ডম্বুর হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট (ডুম্বুর স্লুইচগেট) খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী জেলায় হরকাবানের (প্রবল বন্যা) সৃষ্টি হয়। সময়ের সাথে আরো প্লাবিত হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ফটিকছড়ি সহ, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কক্সবাজার। ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল সত্য, কিন্তু ভারত কোনো পূর্ব নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে ডুম্বুর ব্যারেজ খুলে দিয়ে কী মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে? আগাম সতর্কতার ছাড়া ডুম্বুর গেট খুলে দেয়ার কোন সুষ্ঠ ব্যাখ্যা না দিয়ে বলা হচ্ছে গেট নাকি খুলে দেয়া হয় নাই বরং খুলে গেছে সয়ংক্রিয়ভাবে। আমাদের “বন্ধুরাষ্ট্র”টি সম্ভবত এরকম রাজনৈতিক তামাশা করে আমোদিত হন। বাংলাদেশের ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ বলে দাবি করা একটি প্রতিবেশী দেশের জন্য এটা কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ?
২.
আমাদের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো দেখার জন্য একটি নদীগুলো দেখভাল করার জন্য একটি জয়েন্ট রিভার কমিশন আছো। যাদের কাজ হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি কিনা তা দেখার এবং এ বিষয়ে নেগোশিয়েট করা এবং উজানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হলে তা জানানো এবং ভাটির দেশের মানুষকে আগাম সতর্কতা জানানো যাতে পূর্বপ্রস্ততি নেয়া যায়। গত পনেরো বছরের জয়েন্ট রিভার কমিশনকে সিস্টেম্যাটিকালি অকার্যকর করে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে হয় নি কোন বোঝাপড়া। “বন্ধুরাষ্ট্র” হিসেবে দাবি করা কোন দেশ কি ইচ্ছে হলেই এমন পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে যে শুকনো মৌসুমে বন্ধু বলে দাবি করা ভাটির দেশটি পানির জন্য তীব্র হাহাকার করবে আর বর্ষায় সেই পানিতেই ডুবে মরবে? সত্যিকথা হলো, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ আন্তঃসীমানায় অবস্থিত নদীগুলোর পানির হিস্যা নিয়ে ভারত কর্তৃত্ববাদী আচরণ করে আসছে, সেটা কখনোই সমঝোতাপূর্ণ এবং ন্যায্য না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অধিকাংশ পানি বণ্টন চুক্তির বেশিরভাগ শর্তই যে বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এমনকি এই একচোখা চুক্তি অনুযায়ী ও যে বাংলাদেশ সময়মতো পানি পায় না এটাও অজানা নয়।বন্ধুত্ব কখনো একপাক্ষিক হতে পারে না, কেবল এক রাষ্ট্রের সুবিধা বিবেচনায় বন্ধুত্ব হয় না। ফারাক্কা বাঁধের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ কতটা ভোগান্তির শিকার তা আমরা দেখে আসছি বছরের পর বছর। যদি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়, ভারতের ডম্বুর গেট খুলে না দিলে কী হতো? ত্রিপুরায় বন্যার পরিস্থিতি নিশ্চয়ই আরো খারাপ হতো এবং আরো বেশি মানুষ মারা যেত। তার মানে ভারত সরকার তার নিজের দেশের মানুষ বাঁচানোর জন্য গেট খুলে দিয়েছে। এমন যুক্তি ভারত দিতেই পারে। কিন্ত আন্তর্জাতিক নদীর পানি বণ্টনের কিছু নিয়ম আছে। দুই দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীর ওপর উজান কিংবা ভাটি—কোন দেশই কেবল নিজের সুবিধা বিবেচনায় কোন বাঁধ কিংবা উন্নয়ন প্রকল্প তৈরী করতে পারে না। এক্ষেত্রে উভয় দেশের সম্মতি থাকতে হয়। উজানের দেশ হওয়াতে ইচ্ছে হলেই অতিবৃষ্টি বা বন্যাতে গেট বা ব্যারেজ খুলে দিয়ে ভাটির দেশকে ভাসিয়ে নিজের দেশের বন্যা মোকাবিলা করতে পারে না। এটা অপরাধ। এই বন্যাকে তাই রাজনৈতিক বন্যা হিসেবেও বিবেচনা করা তাই খুব বেশি ভুল হবে না।
৩.
আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তর সচেতন হলে ভারতের বিনা নোটিশে গেট খোলা সত্ত্বেও হয়তো আরো কিছু মানুষের প্রাণ বাঁচাতো। সম্পদের কম ক্ষতি হতো। তারপরও সবার আন্তরিকতা আর তৎপরতায় যতটা ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে তুলনামূলকভাবে। যদিও একটি মৃত্যুও কোনভাবেই কাম্য নয়। ভাটির দেশের মানুষকে বিপদে ফেলতে চাইলেও ভারত একদিক থেকে আমাদের উপকারই করেছে! নাহলে দেশের এই অন্যরকম সৌন্দর্য হয়তো আমাদের সামনে আসতো না। রাষ্ট্র হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, মানুষ হয়ে উঠছে রাষ্ট্রের নাগরিক। এই রাষ্ট্রটা আমার এটা এত বেশি করে হয়তো অনুভব করা হতো না এই ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতি না হলে। ‘রাষ্ট্র নাগরিকের হয়ে ওঠা’টা আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি। বন্যা মোকাবিলায় সব শ্রেণিতে মানুষ তার নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসছে। মানুষের মধ্যে যে স্পৃহা দেখা যাচ্ছে ʼ৭১ এর পর এরকম কর দেখা যায় নি। তহবিল সংগ্রহ ও ত্রাণ সংগ্রহ চলছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ কার্যক্রম দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। ত্রাণ বিতরণ আর উদ্ধার কার্যক্রমে কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। এরপরও আগের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক সুসংহতভাবে চলছে বন্যা মোকাবিলার কাজ। আরো শৃঙ্খলভাবে কাজ করতে এবং ত্রাণের সুষ্ঠ বণ্টনে কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, কিছু অতি উৎসাহী মানুষ কেবল ফটোসেশন করার জন্যে দল বেঁধে একটা ত্রাণের ট্রাকে ১৫-২০ জন মানুষ যাচ্ছেন, যেন তারা পিকনিক করতে যাচ্ছেন। এতে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত লোকের ভিড় হচ্ছে। এত মানুষ না গিয়ে তারা যদি ২-৩ জন একটা ট্রাকের সাথে যান তাহলে খরচ বাঁচে এবং ঐ টাকায় আরো কয়েকটি পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা হয়। অথবা তারা যদি তাদের এই ত্রাণসামগ্রী কোন বিশ্বস্ত সংস্থার কাছে তুলে দেন তাহলে তারা সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই ত্রাণের সুষ্ঠ বণ্টন করতে পারে। তাই ছোট ছোট উদ্যোগে সংগ্রহ করা ত্রাণসামগ্রী যদি বড় কোন প্রতিষ্ঠান মারফত পাঠানো যায় বা সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয় তাহলে তালিকা দেখে সব এলাকায় সুষমভাবে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো যাবে। বন্যার্ত এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টিম সহ আরো অনেক স্বেচ্ছাসেবক আছেন যারা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এই ত্রাণ গ্রহণ তালিকা দেখে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য কাজ করছেন। তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করলে সবাই উপকৃত হবে। অতি উৎসাহী হয়ে যেন আমরা কাজের ক্ষতি না করি। সাঁতার না জেনে এবং প্রশিক্ষিত না হলে রেসকিউ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করা উচিত । এতে করে ঝুঁকি বাড়ে এবং উদ্ধারকার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। আমাদের এসব দিকে নজর রাখতে হবে।
৪.
সন্দেহ নেই আকস্মিক বন্যা মোকাবিলা করা নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গণঅভ্যুথানের মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এই বন্যা সরকারের জন্য একটা পরীক্ষা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন বন্যা মোকাবিলা এখন এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা, সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের এক কর্ম দিবসের বেতন প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দিচ্ছেন। বন্যার্তদের উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি ও কোস্টগার্ড কাজ করছে। ছাত্র, স্বেচ্ছাসেবক এবং সাধারণ জনগণ উদ্ধার ও তহবিল সংগ্রহে অংশ নিচ্ছেন। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। আর এখানেই এক নতুন বাংলাদেশ আমরা দেখতে পাচ্ছি। নতুন এই বাংলাদেশে শিশু থেকে শুরু করে ভিক্ষুক, রিকশাচালক থেকে ডাক্তার—সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এগিয়ে আসছেন আমাদের বন্যার্ত ভাইবোনদের সহায়তায়। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে গণত্রাণ কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গণত্রাণ কর্মসূচিতে আমরা এক অন্যরকম ঢাকাকে দেখি। শিশুরা তাদের ছোট্ট ব্যাংকে জমানো টাকা , তাদের খেলনা, পোশাক নিয়ে আসছেন বাবা-মায়ের হাত ধরে। অন্তর্জালের পর্দায় চোখ রেখে দেখতে পাই একজন ভিক্ষুক কাঁপা কাঁপা হাতে টাকা তুলে দেন ত্রাণের বাক্সে। যে যা পারছেন আনছেন। সারি সারি ত্রাণ ভর্তি গাড়ি দেখা যায় টিএসসিতে। উদ্ধারকাজে প্রথমে বোট পাওয়া যাচ্ছিলো না। নৌকার ভাড়া অনেক বেশি চাওয়ার নজির যেমন আছে তেমনি বিনামূল্যে বোট, তেল, ট্রাক সংগ্রহের নজিরও আছে। বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারি ফাউন্ডেশন সব্বাই কাজ করছে। উদ্ধারকাজ থেকে শুরু করে গণত্রাণ কর্মসূচি, ত্রাণ কার্যক্রমের সমন্বয়– সব কাজে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসেছে। যেভাবে স্বৈরাচার হটাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে, ঠিক সেইভাবে। আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আস্থার সাথে কাজ করছে। আমরা দেখি আসন্ন দূর্গাপূজার বাজেট কমিয়ে মন্দির কমিটির আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে দান করছেন!
অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী বিনা পারিশ্রমিকে রাতদিন কাজ করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে রোভার স্কাউট সহ আরো অনেকে। হ্যাঁ, এমন বাংলাদেশের স্বপ্নই আমরা দেখি। যেখানে জাতীয় ঐক্য হবে আমাদের চেতনা। চব্বিশে আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের স্পিরিটই হচ্ছে এই জাতীয় ঐক্য। এমন বাংলাদেশ আমি আগে দেখিনি। জেনারেশন ওয়াই বলছে তারাও দেখেনি। এটাই বাংলাদেশ ২.০ ।
৫.
বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে আমাদের একত্রে দাঁড়াতে হবে। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত শক্তি স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছে। এখন আমরা বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আছি। আমাদের জুলাই বিপ্লবের সম্মিলিত চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। এটি বাংলাদেশ ২.০। এটা আমাদের মাতৃভূমি, আমাদের দেশ, আমাদের বাঁচতে হবে, আমাদেরকেই আমাদের মানুষকে বাঁচাতে হবে। আমাদের রাষ্ট্র আমরাই গড়বো, আমরা নাগরিক হয়ে উঠছি, আরো বেশি করে হবো। ‘রক্তাক্ত জুলাই’ থেকে ‘ভয়াবহ বন্যার আগস্ট’ __আমাদের বিপ্লব চলছে, চলবে।
সামিয়া জাহান শেফা,
শিক্ষার্থী ও কলামিস্ট,
জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগ,
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ।