ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে লেনদেন শুরু করবে দেশের শীর্ষ¯’ানীয় ডিজিটাল সেবা nপ্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ট্রেডিং কোড ‘রবি’ দিয়ে এন ক্যাটাগরির আওতায় লেনদেন শুরু করবে কোম্পানিটি। ৫২৩ দশমিক ৭ কোটি টাকার প্রাথমকি গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজারের ইতিহাসে বৃহত্তম ইস্যু নিয়ে যাত্রা শুরু করবে রবি। ফলে আইপিও কেনার জন্য আবেদনও পড়েছিল ৫ দশমিক ৭৪ গুণ বেশি। ফিক্সড-প্রাইস মেথডে ১০ শতাংশ (ইমপ্লয়ি শেয়ারসহ) বা ৫২ দশমিক ৩৭ কোটি শেয়ার ছাড়ার জন্য চলতি বছরের ২ মার্চ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করে রবি। প্রতি শেয়ার ১০ টাকা হিসেবে ওই মূলধন তোলার জন্য চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর রবির আইপিও
অনুমোদন করে বিএসইসি। রবির আইপিওর জন্য মোট ১২ লাখ ৮০ হাজার ৪২৫ টি আইপিও আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ২৯০ জন আবেদনকারীকে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। টেলিযোগাযোগ খাতের আওতায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে রবির কোম্পানির কোড- ২৭০০৩ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে- ২৬০০৩। ২৪ ডিসেম্বর বহুল প্রতীক্ষিত অভিষেকের আগে তালিকাভুক্ত হওয়া উপলক্ষে একই দিন সকাল সাড়ে ৯টায় ডিএসই’র নিকুঞ্জের কার্যালয়ে রবি ও ডিএসই কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। রবির চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “সর্বকালের
বৃহত্তম আইপিও দিয়ে শেয়ারবাজারে যাত্রা শুরু করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের তালিকাভুক্তিতে আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শের জন্য বিএসইসি,
ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, বুয়েট এবং আমাদের রেগুলেটর বিটিআরসির কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখন আমাদের মুল লক্ষ্য হ”েছ গ্রাহকদের কাছে সর্বাধিক উদ্ভাবনী ডিজিটাল লাইফস্টাইল সল্যুশন পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি আমাদের সম্মানিত দেশী ও বিদেশী শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা করা।”
এশিয়ার টেলিযোগাযোগ বাজারের অন্যতম কোম্পানি আজিয়াটা গ্রæপ বারহাদ (মালয়েশিয়া) এবং ভারতী এয়ারটেলের (ভারত) একটি যৌথ উদ্যোগ হ”েছ
রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি)। কোম্পানিটির সিংহভাগের মালিকানা আজিয়াটার। রবি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। দেশের মানুষের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ডিজিটাল সেবা আনছে কোম্পানিটি। দেশের প্রতিটি প্রান্তে উদ্ভাবনী সেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশে রবি অব্যাহত বিনিয়োগের মাধ্যমে শক্তিশালী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। দেশজুড়ে থাকা এ অবকাঠামো ডিজিটাল পণ্য ও সেবা সরবরাহের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। শহর কিংবা গ্রাম যেখানেই হোক রবির মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে হাটছে দেশবাসী।