স্ত্রী বুশরা খানকে ছাড়া বাঁচবেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জার্মান ম্যাগাজিন ‘দেয়ার স্পিগেলস’-এর সাংবাদিক জুজানে কোয়েলডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার এ কথা বলেন তিনি। জিও টিভি এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বুশরা সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। সে আমার সঙ্গী। আমি তাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।’ ইমরান সরকারে বুশরার প্রভাব নিয়ে যখন দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা জোরালো হচ্ছে, তখন স্ত্রীর এ প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, বুশরা যথেষ্ট জ্ঞানী। বোকারা স্ত্রীকে সব কথা বলে না। আমি সব কিছু নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করি। সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে আমি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হই, তা নিয়ে আলোচনা করি। বিভিন্ন জটিল পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করি।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রায়ই তার স্ত্রীর জ্ঞানের প্রশংসা করেন। পিটিআই সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতেও বুশরার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান ২০১৮ সালে তৃতীয়বারের মতো তার আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু বুশরা মানেকার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর পর বুশরার নামের সঙ্গে খান যুক্ত হয়।
১৯৯৫ সালে ব্রিটিশ নাগরিক জেমিমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করেছিলেন একসময়কার প্লেবয় ইমরান খান। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পাকিস্তানের লাহোরে থাকতেন জেমিমা। কিন্তু ইহুদি পরিবারে জন্ম হওয়ায় পাকিস্তানের মানুষ তাকে তেমন পছন্দ করতে পারেননি। ইমরান আর জেমিমার ঘর ভাঙে ২০০৪ সালে। জেমিমার গর্ভে জন্ম নেয়া দুই ছেলে আছে ইমরান খানের। বিচ্ছেদের পর দুই ছেলে সুলাইমান খান ও কাশিম খানকে নিয়ে যুক্তরাজ্যেই থাকেন জেমিমা গোল্ডস্মিথ।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরানের জীবনে নারীর আগমন এর আগেও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বহু নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কের খবর মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার হয়েছে।
সূএ: যুগান্তর