কথিত ‘প্রথম দফা’ বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলে ওয়াশিংটনে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার ও অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিনের সঙ্গে চীনের ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হি’র মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে দুই দেশের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তা প্রাথমিকভাবে স্থগিত রাখেন। নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে দেওয়া এক বক্তব্যে সেসময় তিনি বলেছিলেন, আমি এখন চীনের সঙ্গে কথা বলতে চাই না। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
চীনের সঙ্গে বৈঠকটি নিয়ে লাইটহাইজার বলেন, উভয় পক্ষ মেধা সম্পদ অধিকার ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তির দ্বিতীয় দফা নিয়ে আলোচনার জন্য কিছু পয়েন্ট ওঠে এসেছে। তিনি বলেন, উভয় পক্ষ চুক্তির মাধ্যমে আহ্বান জানানো চীনের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে।
এসব পদক্ষেপ মেধা সম্পদ অধিকার রক্ষায় আরো সুরক্ষা দেবে, আর্থিক সেবা ও কৃষি খাতে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর জন্য বাধা দূর করবে এবং জোরপূর্বক প্রযুক্তি দেওয়ার পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার এই আলোচনার জন্য সবচেয়ে সুযোগ্য সময় ছিল এটি। মাত্র ১০ দিন আগে দুই দেশ তাদের মধ্যকার আলোচনা স্থগিতের ঘোষনা দেয়। এর জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক কারণের কথা জানানো হয়নি। যদিও শোনা গিয়েছিল যে, বেইজিংকে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা ও মার্কিন পণ্য ক্রয় বাড়ানোর জন্য সময় দিতেই আলোচনা স্থগিত হয়। এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন শুরু করেছেন। এক সপ্তাহ ধরে চলবে এ কনভেনশন। এমতাবস্থায় চীনের সঙ্গে চুক্তি করা তার পক্ষে অধিক লাভজনক। তিনি বলতে পারবেন, কেবলমাত্র তার প্রশাসনেরই বেইজিংয়ের সঙ্গে এমন চুক্তি করার সামর্থ্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করছে যুক্তরাষ্ট্র। হুয়াওয়ের পাশাপাশি ভিডিও শেয়ারিং এপ টিকটক, বার্তা বিনিময় এপ উইচ্যাটের ওপর আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে নতুন এই আলোচনার খবর কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে।