বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর (বেরোবি) এর সাম্প্রতিক অর্জিত সুনাম ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য কিছু মহল হতে প্রদত্ত উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বেরোবি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব। এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আক্রমণাত্মক মনোভাব বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আচরণগত অসংগতি প্রকাশ করে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা হতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সকল অবাঞ্ছিত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অবমূল্যায়ন করায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
বেরোবি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করছেন তার অংশ হিসেবে স¤প্রতি একটি জালিয়াত চক্রকে আটক করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন পুলিশকে সহায়তা প্রদান করে, তখন এই ইতিবাচক কাজকে উৎসাহিত না করে বরং একজন শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মনগড়া, ভ্রান্ত এবং নেতিবাচক মন্তব্য কর,ে যার নরিীখে প্রশাসন তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে। যার ফলশ্রæতিতে স¤প্রতি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যেখানে অভিযুক্ত একজন শিক্ষকের নিকট কারণ দর্শানোর নোটিশকে স্বেচ্ছাচারী কার্যক্রম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণè করেছে। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব এরূপ অবাঞ্ছিত বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন, ২০০৯ এর ৪নং ধারার (ড) নং উপধারার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষকদের নৈতিক শৃঙ্খলা তত্ত¡াবধান করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব এবং ঐ আইনের ৫৪নং ধারা দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোন শিক্ষকের নিয়মিত ভুল তথ্য অপপ্রচারের নিরীখে প্রশাসনরে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করার সাথে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব পরপর্িূণভাবে একাত্মতা প্রকাশ করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টিতে অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বঙ্গবন্ধু পরিষদ তাদের বিবৃতিতে একজন প্রাক্তন মেধাবী ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দাবী করছে। কিন্তু তার নেতিবাচক আচরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী । বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে নিয়মিত পাঠদান ও গবেষণা কর্মকাÐে নিজেকে নিয়োজিত রাখা কিন্তু তিনি তা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাÐকে বিভিন্নভাবে সমালোচনা করে থাকেন এবং নবনিযুক্ত শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য উপস্থাপন করেন। আলোচ্য শিক্ষক রসায়ন বিভাগে তথ্য গোপন করে দুইবার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এবং সে সময় তার বিরুদ্ধে সহকর্মীদের নানান হয়রানিমূলক কর্মকাÐের অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ল্যাবের যন্ত্রপাতি নিয়মিত ভাবে অদৃশ্য হওয়ার পাশাপাশি বরাদ্দকৃত অর্থের সুনির্দিষ্ট কোন হিসাব না পাওয়ার নজির রয়েছে। ফলে সেখানে দায়িত্বের অবহেলা পরিলক্ষিত হয়। প্রশাসন যখন এ ধরণের দায়িত্বের অবহেলাকে প্রশ্রয় না দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানান অমূলক ও মনগড়া বক্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন যা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের অন্তরায়। এরূপ কর্মকাÐের নমুনা সরূপ তার বরিুদ্ধে রসায়ন বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে মানসিকভাবে বির্পযস্ত করার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভযিোগ পাওয়া যায় যাতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ না করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি জানায়, বেরোবি শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদ বর্তমানে কিছু কুচক্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে যেখানে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে পুঁজি করে নানান অপরাধমূলক কাজ করার পায়তারা করছে। ফলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ক্লাব এ ধরণের নেতৃত্ব থেকে বঙ্গবন্ধু পরিষদকে রক্ষা করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহ এদের দ্রুত বহিষ্কার করার জোর দাবি জানায়।