ভারতের পুলিশ জানাচ্ছে যে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী কাস্তে দিয়ে তার স্ত্রীর পেট কেটে দেবার পর ওই নারী মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন।
নারীর পরিবার অভিযোগ করেছে, স্ত্রীর গর্ভের সন্তান ছেলে কি-না, তা দেখতে চেয়েই স্বামী তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালিয়েছিল।
এই দম্পতির এরই মধ্যে পাঁচটি কন্যা সন্তান রয়েছে এবং পরিবার বলছে যে একটি পুত্র সন্তানের জন্য স্বামী ওই নারীর ওপর চাপ দিচ্ছিল।
পুরুষটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি স্ত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন যে এটা ছিল একটি দুর্ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায়।
পুলিশে একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে ওই নারী রাজধানী দিল্লিতে হাসপাতালে রয়েছেন এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল।
ওই নারীর বোন বলেন, তার বোন ও বোনের স্বামীর মধ্যে ছেলে সন্তান নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া হতো।
তার ভাই জানাচ্ছেন, হামলার পর ওই নারীর অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে রোববার দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বামী দাবি করছেন যে তিনি তার স্ত্রীর ওপর ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালাননি। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, তিনি কাস্তেটা তার স্ত্রীর দিকে ছুঁড়েছিলেন, কিন্তু বুঝতে পারেননি যে সেটি তার পেটে গিয়ে লাগবে এবং স্ত্রী গুরুতর আহত হবে।
”আমার পাঁচটা মেয়ে সন্তান আছে। একটা ছেলে মারা গেল। আমি জানি সন্তান ঈশ্বরের দান। এখন যা হবার সেটাই হবে।”
পুলিশ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।
সুএ:বিবিসি