ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ স্কুল অব মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা একটি এন্টিবডি আবষ্কিার করেছেন। এই এন্টিবডি করোনা ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা ক্ষুদ্রতম অণুজীবের অনুকে (স্মলেস্ট বায়োলজিক্যাল মলিকিউল বা এসবিএম) আলাদা করেছেন। এই এসবিএম করোনা ভাইরাসের রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে পুরোপুরি এবং সুনির্দিষ্টভাবে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
এতে বলা হয়, একটি পূর্ণাঙ্গ আকৃতির এন্টিবডির চেয়ে ১০ গুণ ক্ষুদ্র নতুন এই এন্টিবডি। এটা এবি৮ নামের একটি ওষুধ প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। সোমবার গবেষণাধর্মী জার্নাল ‘সেল’-এ এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
তাদের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে এটা হতে পারে ভয়াবহ করোনা সার্স-কোভ-২ বা কোভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকর একটি ওষুধ। রিপোর্ট অনুযায়ী, এ ওষুধের পরীক্ষা করা হয়েছে ইঁদুর ও হ্যামস্টার জাতীয় প্রাণীর ওপর। তাতে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এই ওষুধ। তবে তা এখনও মানুষের কোষের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি। ধারণা করা হয়, এটা কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না মানুষের শরীরে।
এ বিষয়ে লেখা প্রবন্ধে পিটার্সবার্গ এবং ইউপিএমসির ডিভিশন অব ইনফেকশাস ডিজিজেসের প্রধান ও সহলেখক জন মেলোর বলেছেন, এবি৮ শুধু কোভিড-১৯ চিকিৎসার থেরাপিতেই কার্যকর এমন নয়। একই সঙ্গে মানুষকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষায়ও ব্যবহৃত হতে পারে। তিনি বলেছেন, অপেক্ষাকৃত বড় আকারের এন্টিবডি কাজ করেছে অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে। এতে আমাদের মাঝে আশার আলো দেখা দিয়েছে যে, এই ওষুধ করোনা চিকিৎসায় কার্যকর ফল দিতে পারে। সুরক্ষা দেবে তাদেরকে, যাদের কখনো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়নি। এই গবেষণাকর্মের সহ লেখক পিটার্সবার্গের সিয়াঙলেই লিউ। কিভাবে এই ওষুধ প্রয়োগ করা যায় তা নিয়েও ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন ইনহেলার পদ্ধতিতে, আবার আইভি পদ্ধতির পরিবর্তে সুপারফিসিয়াল ইনজেকশন পদ্ধতিও ব্যবহার করা হতে পারে।
এই রিপোর্টের প্রেক্ষাপটে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস মেডিকেল ব্রাঞ্চ সেন্টার ফর বায়োডিফেন্স এন্ড ইমার্জিং ডিজিজেস এন্ড গ্যালভেস্টন ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করেছে এবি৮ ওষুধটি। তারা তাতে তারা দেখতে পেয়েছেন সাধারণ চিকিৎসার চেয়ে এই ওষুধ ১০ গুণ সংক্রমণ কমায়
সুএ:মানবজমিন