মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন বিভিন্ন এলাকায় অহরহ মাদক, ছিনতাই, খুন জখম ও ডাকাতিসহ নবিভিন্ন প্রকার অপকর্ম দীর্ঘদিন ধওে চলে আসছিল। কিš‘গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ তারিখে নতুন জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে জনাব আব্দুল মোমেন পি পি এম তাঁর মুন্সীগঞ্জ কর্ম¯’লে যোগদান করার পর হতে জেলার প্রতিটি থানায় সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সংখ্যা কমে আসছে। নতুন জেলা পুলিশ সুপার যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে সো”চার থেকে সকল ধরণের অপকর্ম বন্ধ করার আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যা”েছন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময়ে এলাকার নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন, চাঁদাবাজি, লুটপাটসহ বিভিন্ন সহিংশতামূলক কর্মকান্ড ঠেকাতে বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে যা”েছন। বর্তমান পুলিশ সুপার একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং আন্তরিক ব্যক্তিত্ব। তার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার সকল থানায় অফিসারগণ সৎ পথে নিয়ত আছেন। পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পি পি এম দৈনিক স্বাধীন সংবাদকে বলেন, তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলার সকল থানাধীন অসহায়, গরীব-দুঃখী পরিবারের পাশে থেকে তাদেরকে আইনি সহায়তা দিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। তার অধীন¯’ জেলায় যদি কোন গরীব-দুঃখী নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়, তবে ক্ষতিগ্র¯’ অসহায় মানুষের জন্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই তার লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ধর্ষণ একটি মহামারি রূপ ধারণ করেছে। আমরা সচেতন মহল যদি যার যার জেলা, যার যার থানা এবং যার যার ইউনিয়নে ধর্ষণ ও মাদককে না বলি তাহলেই বাংলাদেশকে ধর্ষক ও মাদকমুক্ত করা সম্ভব । বর্তমানে বিশ্ব সভ্যতা যে কয়টি মারাত্মক ব্যাধির সম্মুখীন, বাংলাদেশে ধর্ষণ ও মাদকাসক্তি তার মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে আজ মাদকাসক্ত একটি জটিল সামাজিক ব্যাধিরূপে বিস্তার লাভ করেছে। মাদকের ভয়াবহতা উপলব্ধি করে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। মাদককে চিরতের উৎখাত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরলস পরিশ্রম করে যা”েছ বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত সমাজ হিসেবে গড়ে তুলতে। কিš‘ এতো কিছুর পরেও সমাজে কিছু অসাধু, অর্থলোভী মানুষ চালিয়ে যা”েছ মাদক ব্যবসা। । পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, আমি আমার মুন্সীগঞ্জের জনসাধারণে প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি প্রতি ঘরে ঘরে মাদক কে না বলুন এবং ধর্ষণকে না বলার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন। আমার মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন যদি কোন ব্যক্তি এই কাজে লিপ্ত থাকে তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষকে সংবাদটি পৌঁছিয়ে দিন। মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৬টি থানায় ৭৪টি পুলিশ বিট মাদক ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনগণকে অধিক থেকে অধিকতর সো”চার করার কাজ পরিচালনা করছে। মুন্সীগঞ্জ ৬ থানাধীন পুলিশ কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ করোনা মহামারির মধ্য দিয়ে জীবনকে বাজি রেখে হলেও তাদের কর্মকে বেগবান রেখেছে। পুলিশ সুপার অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানান, করোনা মহামারিতে মুন্সীগঞ্জ জেলায় পুলিশ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ১৭০ জন, মত্যুবরণ করেছে দুই জন এবং মোট সু¯’্য হয়েছে ১৬৬ জন। এমনকি বর্তমানেও দুই জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে যাহাদের মধ্যে সিভিল রয়েছে এক জন। এছাড়া প্রতিটি থানায় পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, মহোদয় বেশ কিছু সৌন্দর্য বন্ধনশীল কাজ করেছেন। উল্লেখ্য যে, তিনি মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপারের বাসভবন, পুলিশ সুপার কার্যালয়, মুন্সীগঞ্জ সদর থানা এমনকি পুলিশ লাইন্সের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সাফল্যের সাথে সমাপ্ত হয়েছে। পরিশেষে বলা যায়, আব্দুল মোমেন পি পি এম, মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার একজন সাদা মনের মানুষ, যিনি ঘরে-বাইরে সর্বদা উন্নয়নের কথা উপলব্ধি করতে সক্ষম।