মাদক তৈরির উপাদান মেথা অ্যামফিটামিনের একটি বিশাল চালান জব্দ করা হয়েছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানটি জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। এ সময় মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগের ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
জব্দকৃত মাদক পণ্যের মূল্য ২৪ কোটি টাকারও বেশি। এ পরিমাণ অ্যামফিটামিন দিয়ে অন্তত ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট তৈরি করা সম্ভব।
বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক আহসানুল জাব্বার বলেন, চালানটি ঢাকায় জব্দ হলেও এর চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল ভিন্ন কোনো দেশে। কারণ ইউরোপের দেশগুলোতে অ্যামফিটামিনের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশে এটি সেভাবে ব্যবহৃত হয় না।
আন্তর্জাতিক মাদক চোরাকারবারিরা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চালানটি সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করছিল।
অভিযান সংশ্লিষ্টরা বলেন, তৈরি পোশাক (জিন্স প্যান্ট) রফতানির আড়ালে ৭টি কার্টনে মাদকের চালানটি পাচার করা হচ্ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকের চালান জব্দের পর বিমানবন্দরে সমন্বিত অভিযান চালানো হলে ৬ জন সন্দেহভাজন মাদক কারবারিকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন খন্দকার ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ, রাসেল মাহমুদ, গাজী শামসুল আলম, কাজল থুটোকিশ গোমেজ, কার্গো হেলপার/লোডার মো. হামিদুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। এরা সবাই কুরিয়ার সার্ভিস, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বিভিন্ন কোম্পানির লোডার হিসেবে বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিমানবন্দরে এ সংক্রান্ত চালানের রফতানি দলিল পরীক্ষা করে দেখা যায়, একটি কুরিয়ার সার্ভিস ও একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান সক্রিয়ভাবে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পুরো চক্রটিকে চিহ্নিত করা হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশনস) ড. এএফএম মাসুম রব্বানী বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মাদক নেশার জন্য ব্যবহৃত হলেও কোনো ধরনের মাদক স্থানীয়ভাব উৎপাদিত হয় না।
প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ বিশেষ করে মিয়ানমার, ভারত ও চীনে বৈধভাবে অ্যামফিটামিনসহ বেশ কয়েকটি মাদকের উপাদান তৈরি হয়। চোরাকারবারিরা হয়তো এসব দেশের কোনো অ্যামফিটামিনের চালান অস্ট্রেলিয়ায় পাচারের চেষ্টা করছিল।
সুত্রঃ যুগান্তর।