নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছিলেন না। তার অবর্তমানে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সূর্যকুমার যাদব। যাদবের ৪৩ বলে ৭৯* রানের ইনিংসে ভর করেই ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে শেষ চারে যাওয়া একরকম নিশ্চিত করে ফলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। বুধবার আরসিবির দেয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যটা ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় মুম্বই।
টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক কায়রন পোলার্ড৷ চোটের কারণে ছিলেন না রোহিত শর্মা৷ ব্যাঙ্গালোরের হয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন তরুণ দেবদত্ত পাড়িক্কল এবং জশ ফিলিপ৷ উদ্বোধনী জুটিতে ৭১ রান জমা করেন তারা৷ কিন্তু ফিলিপ ফিরতেই পর পর উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি।একে একে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি, এ বি ডেভিলিয়ার্সরা। তবে টলানো যায়নি পাড়িক্কলকে৷ তার ৪৫ বলে ৭৪ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ব্যাঙ্গালোরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৪/৬। পাড়িক্কল বাদে বড় ইনিংস এসেছে শুধু ফিলিপের ব্যাট থেকে (৩৩ রান)। মুম্বইয়ের হয়ে অসাধারণ বোলিং করেন জশপ্রীত বুমরা। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তার শিকার ৩ উইকেট।
একই সঙ্গে এ দিন আইপিএল-এ ১০০ উইকেট নেওয়ার নজিরও গড়েন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার ঈষাণ কিষান এবং কুইন্টন ডি কক। প্রথম উইকেটে ৩৭ উঠলেও ইনিংসকে টানতে পারেননি দু’জনের কেউই৷ তিন নম্বরে নেমে মুম্বই ইনিংসের হাল ধরেন সূর্যকুমার যাদব। মাত্র ২৯ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন তিনি। মাঝে পর পর কয়েকটি উইকেট হারালেও মুম্বই ইনিংসকে চাপে ফেলতে দেননি সূর্য। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৬ রানের জুটিতে নিশ্চিত করেন জয়।
১২ ম্যাচে মুম্বইয়ের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্টে। শেষ চারে জায়গা একরকম পাকাই বলা যায় তাদের। অন্যদিকে ব্যাঙ্গালোর ১৪ পয়েন্টেই আটকে থাকলো। দিল্লি, পাঞ্জাব, কলকাতা, হায়দরাবাদ ও রাজস্থানের সঙ্গে প্লে অফ নিশ্চিতের লড়াই করতে হবে কোহলির দলকে।
সূএ:মানবজমিন