— আহমাদ এ. আর. ফররুখ
বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে রাজনীতিবিদরা অনেকটা নির্বাসনে আছেন। রাজনীতি মূলতঃ এখন ব্যবসায়ী ও আমলাদের নিয়ন্ত্রণে। সর্বশেষ নেত্রকোনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, নেত্রকোনা – ৪ আসনীয় অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমন কোন নেতা কি নেই যিনি সংসদ সদস্য হবার যোগ্যতা রাখেন?
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের তথ্যানুযায়ী, একাদশ জাতীয় সংসদের ৬১ শতাংশ সদস্য ব্যবসায়ী। বাকি ১৩ শতাংশ আইনজীবী, ৫ শতাংশ রাজনীতিবিদ এবং ২১ শতাংশ অন্যান্য পেশার। প্রথম সংসদে ১৮ শতাংশ সদস্য ছিলেন ব্যবসায়ী। ধীরে ধীরে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬১ শতাংশে।
সামনেই দ্বাদশ নির্বাচন। মনোনয়ন কেনা-বেচার হাটে উৎকৃষ্ট প্রার্থী এবারও ব্যবসায়ীরা, তারপর আমলা শ্রেণী। ব্যবসায়ী সম্মেলনে সরকারের প্রতি নিরংকুশ সমর্থনের এটিও একটি বড় কারণ। আর ভোট ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে আমলাদের তো জুড়ি মেলা ভার। প্রয়াত সাবেক নির্বাচন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের মতে নির্বাচনের নিয়ন্ত্রণ থাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে। একবারে নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, নারায়ণগঞ্জ সিটির গত নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে কোথাও কোথাও প্রিসাইডিং অফিসার, কোথাও পোলিং অফিসার অথবা ইভিএম টেকনিশিয়ান, আবার কোথাও কোথাও সাদা পোষাকে ভোট ও ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছেন কতিপয় বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। মোদ্দা কথায় রাজনীতি এখন রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। এর নিয়ন্ত্রণ এখন অন্য কোথাও, অন্য হাতে।
এ দেশে এ অবস্থার সূচনা কবে হলো? প্রয়াত স্বৈরশাসক হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের পতনের পরও রাজনীতিবিদদের মধ্যে এক ধরণের ঐক্য ছিলো। সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতেই বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সরকার প্রধান হয়েছিলেন। ৯১ এর সে নির্বাচনে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারেনি। এর জন্য সেবার বিএনপিতে সামরিক-বেসামরিক আমলা ও ব্যবসায়ীদের মনোনয়ন দেয়াকে অনেকে বিএনপির বিজয়ের বড় একটি কারণ মনে করেন। একই সাথে সে সময় বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদের অপ্রতিরোধ্য জয়-জয়কারের কারণেও বাংলাদেশের রাজনীতিতে অবৈধ পুঁজির অনুপ্রবেশ সহজ হয়ে পড়ে।
এরপর নির্বাচন ৯৬। আওয়ামী লীগ এবার যথেষ্ট কৌশলী। পূর্বসূরি ক্ষমতাসীনদের অনুসরণ করে সাফল্য এবার আওয়ামী শিবিরে। সেই থেকে ব্যবসায়ী আর আমলারা রাজনীতির নিয়ন্ত্রণে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে দেশে যে অচলাবস্থা, সেটাও মূলতঃ এই কারণেই। মাত্র কিছুদিন আগেও বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ শ্রদ্ধেয় আমির হোসেন আমু সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও পরমূহুর্তেই সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। আর সে চিন্তা থেকে তাঁর সরে আসার পিছনে যে কারিগররা কাজ করেছেন, তারা মূলতঃ গণতান্ত্রিক ঘরানার স্বচ্ছ রাজনীতির কেউ নন। বর্তমানে মুনাফাখোর যে শ্রেণী রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তাদের হাতে আজ জিম্মি হয়ে আছেন প্রকৃত রাজনীতিবিদরা।
তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দূর্বৃত্ত পুঁজির উদ্ধত আচরণে দিশাহারা রাজনীতি তার গতিপথ হারিয়ে ফেলেছে। গণতন্ত্র থেকে বিচ্যুত হয়ে সে এখন সংলাপ ও আপোষের যে পরিশীলিত রাজনীতি তাকে ভূলে গেছে। বিচিত্র চেতনাকে ধারণ করার পরিবর্তে রাজনীতি এখন বিভক্তির পথ বেছে নিয়েছে। ‘এক মত, এক পথ’ এই ধারণায় রাজনীতিকে টেনে এনে আমলা ও ব্যবসায়ীরা নিজেদের জন্য নতুন নতুন বেগম পাড়া গড়ে তুলছেন। আমরা খেটে খাওয়া মানুষগুলো তাদের বিলাসিতার বলি হচ্ছি। তারা ‘আমি থেকে আমরা’ -এ আদর্শকে রাজনীতি থেকে চিরতরে জলাঞ্জলি দিয়ে ঐক্যের সম্ভাবনাকে একবারেই ইরেজ করে ফেলেছে।
একত্রিশ দফা থেকে এক লাফে এক দফায় পৌঁছে গেলেও জনগণের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির কোন দফা আজ রাজনীতিবিদের হাতে নেই। সূতরাং শুধুমাত্র একটি সুষ্ঠু ভোটই সব সমস্যার ইতি টেনে আনবে, এইটুকু বিশ্বাসের কোন যুক্তি হয়তো নেই। কারণ প্রার্থীতা কেনা-বেচার ভোটের হাটে আমার ভোটও যে কেনা-বেচা হবেনা এই নিশ্চয়তাটুকু কি কোন কমিশন দিতে পারবে?
আজ তাই রাজনীতিতে দূর্বৃত্ত অর্থকড়ির সমারোহ বন্ধ করে দিতে হবে। রাজনীতিকে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। বেশভূষায় যতই ভাব ধরিনা কেন, মূলতঃ আমরা চাষাভূষাদেরই উত্তরপুরুষ। কানাডা-সিঙ্গাপুরের গল্প শুনলেও মূলতঃ এখনও চরম বৈষম্যের একটি গরীব দেশ। তাই জাতীয় নির্বাচন, বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন ও উপনির্বাচনের নামে সারা বছর ধরে রাজনৈতিক দলগুলো মনোয়ন বানিজ্য ও ভোট বানিজ্যের খেলা খেলতেই থাকে। এ অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্তি পেতে হবে।
অনেকেই বিদ্যমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পদ্ধতিকে বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য দায়ী করছেন। ওয়েস্ট মিনিস্টার পদ্ধতির কথা বলে অনেক অনেক কিছুই জায়েজ করে ফেলতে চান। আবার কেউ কেউ আনুপাতিক ভোট পদ্ধতিকে সমাধান হিসেবে ভাবছেন। কিন্তু আনুপাতিক ভোট ব্যবস্থাও ব্যাপক ভাবে প্রার্থিতা কেনা-বেচা এবং সমভাবে সকল স্থানীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সক্ষম নয়। আসলে আমাদের মতো প্রায় ক্ষুদ্র একটি অর্থনীতির দেশে পশ্চিমাদের এই সব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ব্যর্থই বলা যায়। বড় অর্থনীতির অনেক দেশেও এ ধরণের গণতন্ত্রকে আজ ব্যর্থ বলে শুনি।
প্রকৃত অর্থে, অর্থ ব্যবস্থার গণতন্ত্রায়ণ ছাড়া গণতন্ত্র বরাবরের মতই ধনীক শ্রেণীর শাসন-শোষনের উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হবে। তাই গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ পেতে অর্থনীতির ব্যাপক গনতন্ত্রায়ন অত্যাবশ্যক। একই সাথে ধার করা প্রচলিত ভোট ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আমাদেরকে আমাদের সামর্থের বিবেচনায় ‘একক নির্বাচন পদ্ধতি (প্রতি পাঁচ বছরে একটি নির্বাচন)’ এর মাধ্যমে একই সাথে জাতীয় সংসদ (সংসদ সদস্য) ও স্থানীয় সংসদের (স্থানীয় সরকার) সকল প্রতিনিধিগণ (জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিটি/মহানগর মেয়র, সিটি মহানগর ওয়ার্ড কাউন্সিলর), পৌর/নগর মেয়র, পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড মেম্বার) নির্বাচিত করতে হবে।
জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকাসমূহ চিহ্নিত হবে ৩০০ সংসদীয় এলাকা। স্থানীয় সরকারের ক্ষেত্রে জেলা, উপজেলা, মহানগর/সিটি, মহানগর/সিটি ওয়ার্ড, পৌর (নগর), পৌর ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড।
জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সংসদীয় এলাকা ভিত্তিক আঞ্চলিক কমিটি, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি, মহানগর কমিটি, মহানগর ওয়ার্ড কমিটি, পৌর (নগর) কমিটি, পৌর ওয়ার্ড কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটির তালিকা সুস্পষ্টভাবে সভাপতির নাম ও স্বাক্ষরসহ সকল সদস্যের পরিচিত সবিস্তারে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দিবেন। এর মধ্য থেকে নুন্যতম ¯œাতক পাশ এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্বাচন করার মতো যোগ্য এমন ব্যাক্তিবর্গই কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের কমিটিতে কোন পদে আসীন হবার যোগ্যতা রাখবেন। রাজনৈতিক দলগুলো দেশব্যাপী তাদের বিভিন্ন কমিটির প্রতিটির জন্য সভাপতি পদে ১০ ভাগ নারী কোটা নিশ্চিত করবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ৩০০টি সংসদীয় এলাকার জন্য কোন একটি রাজনৈতিক দলের সংসদীয় এলাকার কমিটিগুলোতে কমপক্ষে ৩০জন সভাপতি নারী হতে হবে। অন্যান্য সকল কমিটির ক্ষেত্রেও এই কোটা প্রযোজ্য থাকবে।
একক নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী অঞ্চলভিত্তিক সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্তির ভিত্তিতে সেই এলাকার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্ধারিত হয়ে বিজয়ী ঘোষিত হবেন এবং তদানূযায়ী নির্বাচন কমিশনে তাদের জমাকৃত কমিটির সভাপতিগন যথাক্রমে সংসদ সদস্য (সংসদীয় এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), জেলা পরিষদ চেয়াম্যান বা জেলা গভর্ণর (জেলা এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বা উপজেলা কো-অর্ডিনেটর (উপজেলা এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), সিটি মেয়র (মহানগর/সিটি এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), মহানগর/সিটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর (একটি মহানগর/সিটি ওয়ার্ড এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), পৌর মেয়র (পৌর/নগর এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), পৌর (নগর) ওয়ার্ড কাউন্সিলর (একটি নগর ওয়ার্ড এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান (একটি ইউনিয়ন এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি), ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড মেম্বার (একটি ইউনিয়ন পরিষদ ওয়ার্ড এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দলের সভাপতি) নির্বাচিত হবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীগন নির্বাচন তফসিল ঘোষনার কমপক্ষে ছয় মাসপূর্বে একটি সুনির্দিষ্ট এলাকা ও পদের জন্য প্রার্থীতা ঘোষনা করবেন এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীতা দাখিল করবেন। নির্বাচন হবে প্রতীকে। দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য আলাদা প্রতীক বরাদ্দ করবেন। সকল দল ও ব্যাক্তি তাদের প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালাবেন।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া এবং নতুন নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষ্যে জাতীয়, স্থানীয় ও দলীয়ভাবে কোন ব্যাক্তি কোন একটি পদে দুইবারের অধিকবার নির্বাচিত হতে পারবেন না। এটি মন্ত্রী পরিষদ, জাতীয় সংসদ, বিভিন্ন স্থানীয় সরকার পরিষদ, দলীয় পদপদবী, নির্দলীয় সংগঠন, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক সকল সংস্থা যেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত বিধি বর্ণিত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে নির্বিশেষে প্রযোজ্য হবে।
বিশেষ করে কোন ব্যাক্তি দুইবার রাষ্ট্রপতি, দুইবার প্রধানমন্ত্রী অথবা দুইবার কোন সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হলে তিনি এই সমস্ত পদের জন্য চিরকাল অবসর গ্রহণপূর্বক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত হতে পারবেন। আইন পরিষদের সদস্যগণ অর্থাৎ সংসদ সদস্যগণ কখনো কোনভাবেই স্থানীয় সরকার বা জাতীয় সরকারের উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট হবেন না। তারা শুধুমাত্র স্থানীয় ও জাতীয় প্রয়োজনভিত্তিক আইন তৈরির মহৎ কাজে নিজেকে নিবেদিত করবেন। কোন একক দলীয় সরকার নয়, বরং সর্বদলীয় নির্বাচনকালিন সরকারের তত্ত¡াবধানে এই ‘একক জাতীয় নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হতে হবে।
বর্তমানে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশে যে অচলাবস্থা, এটিকে নির্বাচনকালিন সংকট বলাটা দূরূহ। সংকটটি মূলতঃ ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে ক্ষমতাসীন পক্ষ যেন তেন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায়, অন্যদিকে ক্ষমতাহীনপক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূণঃ প্রবর্তনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে পেতে চায়। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ফাঁদে ফেলে ক্ষমতায় যাবার এ পক্রিয়া মূলতঃ জনগণের ক্ষমতায়নকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। গণতন্ত্র যে ক্ষমতায় যাওয়া নয়, বরং জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা — আমাদের রাজনৈতিক চর্চায় এ বিষয়টি মনে হয় বরবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে।
(লেখক জ্যাষ্ঠ সাংবাদিক ও মানবাধিকার শিক্ষা বিষয়ক গবেষক)।
=======================================================