সরকার পরিবর্তন চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব সরকারের পরিবর্তন চেয়েছেন। আমি বলতে চাই, পরিবর্তন চাইলে নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোও পথ নেই। সে ক্ষেত্রে আপনাদের আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হয়। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের কোনোও বস্তুগত পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান নেই। তাই কেউ যদি চোরাগলি দিয়ে ক্ষমতার স্বর্ণ দুয়ারে পৌঁছাবেন বলে ভেবে থাকেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, গণপরিবহন আগের ভাড়ায় ফিরেছে। ভাড়ার বিষয়ে কোনোও অভিযোগ না থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করায় ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধির প্রতি কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়া দেশব্যাপী শর্ত লঙ্ঘনসহ সড়কে শৃঙ্খলা বিধানে বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালে প্রথমদিকে কাজের ধীরগতি ছিল। এখন অতিরিক্ত কাজ করে কাভার দিতে হবে। প্রতিবেদনে দেখলাম, প্যাকেজ-১ এর কাজের অগ্রগতি ৪৭ ভাগ, প্যাকেজ-২ এর মাত্র ৩১ ভাগ। এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন প্যাকেজ-৩ ও ৪ এর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। আমি এলজিইডি পার্টের পিডি সাহেবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু সওজ এবং বিবিএ পার্ট কেন বিলম্বিত হচ্ছে? ঠিকাদারের আর্থিক সক্ষমতার যদি ঘাটতি থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে। বসে থাকলে তো চলবে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতকে চিঠি লিখেছিলাম ঠিকাদারের আর্থিক বিষয়ে সমাধানের জন্য। তিনি আমাকে পত্রযোগে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে অর্থছাড় হচ্ছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এ সময় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটি প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী চন্দন কুমার বসাক, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রকিবুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও পরামর্শকরা ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন।
সুত্রঃ যুগান্তর।