ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. রাজীব আল মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এর আগে রোববার দুপুরের দিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে মামলা আছে। এর মধ্যে নাজমুলকে দুপুরে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতা সোহরাব হোসেন ও আসিফ মাহমুদকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়া ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতাকে পুলিশ তুলে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ও ভুক্তভোগীর পরিবার পুলিশ ও ডিবিতে খোঁজ করে পাচ্ছি না। পুলিশ যেহেতু তাদেরকে গ্রেপ্তারের কথা বলছে না, তাই আমরা ধরে নিয়েছি রাষ্ট্রীয় বাহিনী দ্বারা গুম হয়েছেন তারা। আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
সারা দেশে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে দমানোর জন্য এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে সরকার এ কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন রাশেদ খান।
উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর লালবাগ থানায় ঢাবির এক ছাত্রী মামলা করেন। এতে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। নাজমুল হুদা এই মামলার ৫ নম্বর আসামি। তিনি ওই সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি। পরে ওই ঘটনায় কোতায়ালি থানায় আরও একটি মামলা করেন ওই ছাত্রী।
সূএ: আমাদের সময়