অক্টোবর ২০২০ বাংলাদেশ উ্ইমেন চেম্বার অব কর্মার্স প্রকল্পের আওতায় একটি ভাচুয়াল “করপশ ড়ভভ ডড়ৎশংযড়ঢ়” অনুষ্ঠিত হয় ।
বিডবিøউসিসিআই এর সভাপতি জনাব সেলিমা আহমাদ এমপি এর স ালনায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব এম,এ মান্নান, এমপি শারীরিক অসু¯’তা সত্তে¡ও মাননীয় মন্ত্রীর উপ¯ি’তি কর্মশালার অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করেছে । কর্মশালায় আরো অংশগ্রহণ করেন গণপ্রজাতšী¿ বাংলাদেশ সরকারে অতিরিক্ত সচিব জনাব ড: খন্দকার আজিজুল ইসলাম,বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক লীলা রশিদ, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মর্কতা কামাল কাদির, বিআইডিএসএর সিনিয়র রির্সাচ ফেলো ড: নাজনীন আহমেদ, ইস্টান ব্যাংক এর প্রতিনিধি, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, ট্রাষ্ট ব্যাংক লিমিটেড এর প্রতিনিধিবৃন্দ, পিডিপিডিই প্রকল্পের কনসালটেন্ট ফেরদৌসী সুলতানা বেগম, বিডবিøউসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং নারী উদ্যোক্তা বৃন্দ ।
মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন যে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে এ জন্য সরকারকে তিনি ধন্যবাদ জানান । নারী উদ্যোক্তারা এখন অনেক উদ্ভাবনী কাজের সাথে জড়িত। বর্তমানে সরকার ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরীর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নি”েছ । এই অবকাঠামোগুলো ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত। এই মহামারি পরি¯ি’তি অনেক সমস্যার সম্মুখিন হ”েছ তাই তিনি সুপারিশ করেন যে আাগামী জাতীয় বাজেটে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে আরো বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা উচিত। নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রগতির জন্য ডিজিটাল প্লাটর্ফম এবং অবকাঠামো নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব বিশেষ করে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের । তিনি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারকে ট্যাক্স রিবেট করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন ।
আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড: খন্দকার আজিজুল ইসলাম তার বক্তব্যে উদ্ধৃত করেন যে বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং জনতা টাওয়ার প্রযুক্তি পার্কের মত অনেক উদ্যোগ নিয়েছে যেখানে নারীরা বিনা অর্থে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আউট সোর্সিং এর সাহায্যে আর্থিক ভাবে লাভবান হ”েছন। আইসিটি মন্ত্রণালয় এর সকল সুবিধা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে অনলাইন ডিজিটাল ব্যবসায়ের জন্য একটি নীতিমালা তৈরী করেছ এবং এটি প্রচুর জন সর্মথন পাবে। তিনি প্রস্তাব দেন যে যদি নারী উদ্যোক্তারা চান তবে তারা নারী উদ্যোক্তাদের সাথে বসে আলোচনা করবেন এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এর নির্বাহী পরিচালক জনাব লীলা রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে অনেক নীতিমালা রয়েছে তবে তৃণমূল পর্যায়ে সেগুলোর বাস্তবায়ন খুব কম পরিলক্ষিত হয়। বেশীর ভাগ ব্যাংক বিজ্ঞপ্তি এবং নীতিমালা অনুসরণ করতে অনীহা প্রকাশ করে। এ কারণে নারী উদ্যোক্তরা ঋণ প্ওায়ার ক্ষেত্রে সমস্যার মুখোমুখি হ”েছন । নারী উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিগুলি অনুসরণ করার পর ঋণ গ্রহণের জন্য আবেদন করা উচিত। যদি কোন ব্যাংক ঋণ আবেদনকারীকে দিতে ঋণ দিতে অস্বীকার করে তবে তাদের উচিত ঋণ প্রত্যাখান করার কারণ উল্লেখ পূর্বক লিখিত নথীর জন্য অনুরোধ করা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হট লাইন কেন্দ্র রয়েছে এবং যেকোনো নারী উদ্যোক্তা কোন সমস্যায় পড়লে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ অভিযোগ করতে পারেন।
বিকাশ এর সিইও জনাব কামাল কাদির বলেছেন যে অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমটি খুব সহজ এবং এতে সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করবে। সুতরাং আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত প্রত্যেকেই অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমটি ব্যবহার করা উচিত। নারী উদ্যোক্তা এবং অন্যান্য উদ্যোক্তাদের জীবন সহজ করার জন্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে অর্থ ¯’ানান্তরের ব্যব¯’া অনতিবিলম্বে চালু এবং কার্যকরী হতে চলেছে । বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক লিঃ যৌথভাবে বিকাশ ক্রেতাদের জন্য কাজ করছে। তারা তাদের ক্রেতাদের যে কোন সময় মাইক্রো ক্রেডিট সুবিধা সরবরাহ করছে। বিআইডিএস এর সিনিয়র ফেলো ড: নাজনিন আহমেদ বলেন যে যতক্ষন না নারী উদ্যোক্তা নিজে মনে করবেন যে অনলাইন বা ডিজিটাল প্লাটফর্র্ম তার প্রয়োজন, ততক্ষণ অনলাইন বা ডিজিটাল ব্যব¯’া ব্যবহার করবে না। ব্যাংক, অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম এবং অনলাইন ব্যবসা এক প্লাট ফর্মে আসতে হবে। তিনি এই ডিজিটাল প্লাটফর্ম উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
বিডবিøউসিসিআই এর সভাপতি জনাব সেলিমা আহ্মাদ কর্মশালায় আলোচিত বিষয়গুলো থেকে সুপারিশ করেন যে –
নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য ডিজিটাল ইকোনমিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রথমেই প্রাতিষ্ঠানিক নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর সার্কুলার ,গাইড লাইন ,পলিসি,এবং ঋণ বিতরনের তথ্যসমূহ সকল ব্যাংক এর শাখা অফিসগুলোতে বিতরন এবং অফিসারদেরকে সঠিক ও কার্যকর দিক নির্দেশনা প্রদান করতে হবে । এই বিষয়টি সঠিকভাবে মনিটরিং এর আওতায় আনতে হবে।
কোভিড -১৯ এর জন্য যে প্রনোদনা প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে সেটি সঠিক ভাবে নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স এবং লোন প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে ।
সরকারের পক্ষ থেকে ডিজিটাল ব্যাংকিং,ডিজিটাল পেমেন্ট এবং অর্থনৈতিক ব্যব¯’াপনা সম্পর্কে নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে ।
ডিজিটাল ইকোনমিতে বাণিজ্যিক লেনদেনের এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
পরিশেষে জনাব রিদমা খান-পরিচালক, বিডবিøউসিসিআই সকল সম্মানিত অতিথিদেও কর্মশালায় সক্্িরয় অংশগ্রহণ করার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং মাননীয় প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব এম,এ মান্নান ,এমপিকে তার শারীরিক অসু¯’তা সত্তে¡ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার অনুপ্রেরণামূলক মূল্যবান বক্তব্য প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।