৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ২য় ধাপে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক শ্বাস রুদ্ধকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সকল প্রকার জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্পন্ন হলো চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বর্তমান চেয়ারম্যন বাবু অশোক কুমার বড়াল ও ‘৯০এর গণঅভ্যুত্থানের রাজ পথের লড়াকু সৈনিক চিতলমারী আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ, খুলনার নির্বাচিত জিএস ও ভিপি এজিএম আলমগীর সিদ্দিকী। ২১ মে সকাল ৮ টায় অনুষ্ঠিত হওয়া তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন এ নির্বাচনে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ ও অবস্হানের কারণে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফলে জনগন উৎসবমূখর পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন। যদিও ভোটার উপস্থিতি ছিল ৫০থেকে ৫৫%। নির্বাচন আচরণ বিধি লঙঘনের দায়ে ২ জনকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট। এঘটনা ব্যতীত এটি ছিলো সার্বিকভাবে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এজিএম আলমগীর সিদ্দিকী ৮৮৯৯ টি ভোট বেশী পেয়ে বাবু অশোক কুমার বড়ালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৬,১৭১ ভোট এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অশোক কুমার বড়াল পেয়েছেন ২৭,২৭২ ভোট।
অপর দিকে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এসএম মাহাতাবুজ্জামানকে ৫৭৭৮ভোটে হারিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন হিজলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা কাজী আজমীর আলী। তিনি পেয়েছেন ৩৩,৪৭৫ ভোট অপরদিকে পরাজিত প্রার্থী এসএম মাহাতাবুজ্জামান পেয়েছেন ২৭,৬৫৭ ভোট।
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে বিশাল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন চিতলমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চিতলমারী হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম সিরাজুল হক মল্লিকের কন্যা সুলতানা মল্লিক যিনি তাঁর পিতার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির বর্তমান সভাপতি। তিনি ১৮,৪১৫ ভোটের ব্যবধানে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চারুলতা হীরাকে (হাঁস প্রতীক) পরাজিত করেন। সুলতানা মল্লিকের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩৫,৪৭২ এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চারুলতা হীরা পান ১৭,০৫৭ ভোট।
— চিতলমারী (বাগেরহাট) থেকে কামরুজ্জামান খাঁন পিকলু।