শুক্রবার, জুলাই ২৬, ২০২৪

করোনা-মহামারিতে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা

পাঠক প্রিয়

হেলথকেয়ার সম্পর্কিত ডায়ালগটি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসে মে ২১, ২০২০ খ্রি. তারিখে বেলা ১২টা অনুষ্ঠিত হয়। উপর্যুক্ত লাইভ অনুষ্ঠানটি ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর কর্তৃক আয়োজন করা হয়।

যেই রোগীরা করোনায় আক্রান্ত নন এবং অন্য কোন স্বাস্থ্যসেবা চান তারাও ডাক্তারদের চেম্বারে কিংবা হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন। এই সংকটময় অবস্থায় এমন সমস্যা সমাধানে টেলিমেডিসিন হতে পারে সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায়। টেলিমেডিসিন ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বা ই-স্বাস্থ্যসেবার অন্তর্ভুক্ত।

টেলিমেডিসিন প্রক্রিয়ায় ডাক্তার এবং রোগীর সরাসরি দেখা করার প্রয়োজন হয় না। রোগীরা ডাক্তারের সাথে ভার্চুয়ালি যোগাযোগ করবেন এবং চিকিৎসাও অনলাইনে নিবেন। মোবাইল বা ল্যাপটপ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রোগীরা সেবা নিতে পারবেন এবং সাথে সাথেই ডাক্তারের কাছ থেকে পেয়ে যাবেন ই-প্রেস্ক্রিপশন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ বিশ্বেও উন্নত দেশগুলো এরই মধ্যে টেলিমেডিসিন সুবিধা নিচ্ছে। আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতে এখনো প্রয়োজনীয় অনেক কিছুর স্বল্পতা রয়েছে। রয়েছে ডাক্তার, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীর অভাব। হাসপাতালগুলোতেও ১০,০০০ মানুষের জন্য রয়েছে চারটি বেড। সরকার এরই মধ্যে স্বাস্থ্যখাতের জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদেও স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান সুবিধাগুলো দিয়েই অনেক সমস্যা সহজে সমাধান করা যাবে যদি আমরা প্রযুক্তির সহায়তা নেই।

ডিজিটাল বা ই-হেলথ বলতে আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকেই বুঝি। যেখানে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রোগীকে চাক্ষুস না দেখেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় এবং মোবাইল, টেলিফোন ও ভিডিও কনফারেন্সিং-এর সাহায্যে চিকিৎসাসেবা গ্রহণও করা যায়। যদি আমরা এই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারি তাহলে খুব শিগগিরি এমন দিন আসবে যখন ইন্টারনেটে মেইল চেক করার মতো ডাক্তাররা রোগীর পালস চেক করবেন।

ডিজিটাল হেলথ বা ই-হেলথ চিকিৎসা জগতে একটি উদীয়মান ক্ষেত্র। ইন্টারনেট ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রদান করার অপর নাম ই-হেলথ।ডিজিটাল বা ই-স্বাস্থ্য টেলিমেডিসিন থেকে একটু ভিন্ন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডিজিটাল বা ই-হেলথ সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রচারণা, জনস্বার্থে জড়িত বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত। অন্যদিকে, টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির মাধ্যমে দূর থেকে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়া নিয়ে কাজ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২০-২০২৪ ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিষয়ক পরিকল্পনা অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে উন্নত স্বাস্থ্যসেবাপ্রদানের জন্যে ই-হেলথ-এর ব্যবহার বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল হেলথের অধীনে বাংলাদেশ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধিতে এবং নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার উদ্যোগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থার জন্য মানদÐ নির্ধারণও একই বা ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেইজ সমূহের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি খসড়া গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। মাসে তিনবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আটটি বিভাগীয, ৬৪ টি জেলার এবং ৫০০ জন সাব-ডিস্ট্রিক্ট হেলথ ম্যানেজারের সাথে মিটিং করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের সাথে এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকদের সাথে মাসে দু’বার মিটিং করেন। এই মিটিংগুলি ভিডিও কনফারেন্সে করা হয়। এসব মিটিংইয়ে স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

করোনার মহামারীর সময়ে সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিষইয়ক বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়ার জন্যে বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সাথে সরকার মোবাইলে ২৪/৭ হেল্পলাইন সার্ভিস স্বাস্থ্য বাতায়ন চালু করেছে। মহামারীর সময়ে মানুষকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।এই অবস্থায় করোনা রোগী এবং অন্যরোগীদেও জন্যে টেলিমেডিসিন এবং ডিজিটাল হেলথ হতে পাওে খুব ভালো মাধ্যম। যে সব এলাকা লক্ডডাউন সেখানে ঘওে বসে চিকিৎসা সেবা নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।

সম্ভাব্য করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসার জন্যে বাইওে গেলে তা পুরো এলাকার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। সে জন্য অঞ্চলভিত্তিক টেলিমেডিসিন সেবা দরকার। প্রতিটি এলাকায় একজন নেতা বা মনোনীত সদস্য থাকেন যিনি তার এলাকার সবাইকে ভালোভাবে চেনেন। সেক্ষেত্রে তিনি ঝুকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষকে এই মহামারীর সময় ঘরের বাইওে যেতে নিরৎসাহিত করতে পারেন। প্রতিনিধির মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধও সরবরাহ করতে পারেন।

শুধু তাই নয়, যদি কোন রোগী সেন্টারে আসার মতো অবস্থায় না থাকেন সেক্ষেত্রে প্রতিনিধিকে বা স্বেচ্ছাসেবককে স্মার্টফোনসহ রোগীর কাছে পাঠাতে পারেন যাতে রোগী সহজে ঘওে বসেই সেবা নিতে পারেন।একইভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধও সরবরাহ করা যাবে তাকে। সেই সাথে, এলাকাভিত্তিক কন্ট্রল সেন্টারও থাকবে। যেখানে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেও তথ্য থাবে, কিভাবে যোগাযোগ করা যাবে সেই বিষয়ে তথ্য থাকবে, কোথায় পরীক্ষা করা যাবে, বা নিকটস্থ ফার্মেসির তথ্যসহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্য থাকবে।

এই সকল তথ্য কো-অর্ডিনেশন সেন্টারকে সাহায্য করবে রোগীদেও জন্য স্বাস্থ্যবিষয়ক প্যাকেজ তৈরি করতে। সরকার, এনজিও এবং দাতাদেও সহায়তাপেলে এই সেবা ফ্রিতে বা সুলভ মূল্যে দেয়া যাবে।এটুআই করোনা আক্রান্তদেও তথ্য সংগ্রহে বিশেষ অবদান রাখছে। তারাও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারে।

টেলিমেডিসিন সার্ভিসের জন্য ল্যাপটপ, ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনের প্রয়োজন যা প্রত্যন্ত অঞ্চলে নেই বললেই চলে। থাকলেও তা খুব কম। সেক্ষেত্রে কমিউনিটি লীডাররা এগিয়ে আসতে পারেন। সেই সাথে, তথ্যকেন্দ্রগুলোকে টেলিমেডিসিন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। কেননা তথ্যকেন্দ্রগুলোতে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট থাকে এবং আইটিতে অভিজ্ঞ কর্মী কাজ করেন। সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলোতেও মাল্টিমিডিয়া সুবিধা আছে এবং অভিজ্ঞকর্মী থাকেন যিনি সহজে এই কাজে সহায়তা করতে পারেন। তাই বলা যায়, কমিউনিটি লিডাররা স্বেচ্ছাসেবকদেও সহায়তায় নিজ নিজ এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা দেয়ার কাজ পরিচালনা করতে পারবেন।এনজিওগুলোও টেলিমেডিসিন কেন্দ্রেও কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজে এগিয়ে আসতে পারে।

যদি কোন এলাকায় টেলিমেডিসিন কেন্দ্র না থাকে সেক্ষেত্রে স্মার্টফোন বা সেলফোন ব্যবহারকারী যে কেউ টেলিমেডিসিন সেবাদানকারী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। টেলিমেডিসিনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটা সাশ্রয়ী। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার খরচ এবং ঝামেলা নেই এতে। ডাক্তাররা ঘওে বসেই সেবা দিতে পারেন এবং রোগীরাও নিরাপদে ঘওে বসে সেবা নিতে পারেন।এমনকি ঘওে বসে প্রয়োজনীয় ওষুধও রোগীরা পেয়ে যাবেন।

ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন থাকলে যে কোন সময় ব্যবহার করা যাবে এমনকি পরবর্তী সময় চিকিৎসা নেয়ার সময় কাজে লাগবে। টেলিমেডিসিনে সেবা নেওয়ার মাধ্যমে রোগীদের সব তথ্য জমা থাকবে যা সরকাওে ই-হেলথে সংযুক্ত করা যাবে।আর সর্বশেষ প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের জন্য যে কোন সময় এত সহজে ডাক্তারের সেবা পাওয়া আর্শিবাদস্বরূপ। আর এই সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬০ ভাগ রোগীদেও সমস্যা দূর হবে বলে আশা করা যায়। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে রেজিস্টার্ড এমবিবিএ সডাক্তাররা যখন শতকরা ৬৫ ভাগ চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষের সেবা করবে তা পুরো স্বাস্থ্যখাতে অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারবে।

মানুষের টেলিমেডিসিন সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং অসচেতনতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। আমাদের সমাজে মানুষ এখনো এই বিষয়ের সাথে অভ্যস্ত নয়। সেই সাথে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এবং ইন্টারনেট সমস্যা দেখা দেয়া ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় বাধা হিসেবে কাজ করে। সরকার সকল কমিউনিটি লিডারদের টেলিমেডিসিন সেন্টার চালু করতে এগিয়ে আসতে বলতে পারে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কমিউনিটি লিডারদের সহায়তা করতে পারে এ বিষয়ে।

সরকার, এনজিও, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন সবাই একযোগে এগিয়ে আসলে এবং মানুষের মাঝে টেলিমেডিসিন সম্পর্কে ধারণা দেওয়াসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করলে টেলিমেডিসিন দ্রæত জনপ্রিয়তা পাবে। সরকারের পক্ষ থেকে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা দেওয়া যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়া যেতে পারে। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষকে এ বিষয়ে জানাতে পারে। সেই সাথে ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়াও এ বিষয়ে প্রচারণা চালাতে পারে।ঔষধ কোম্পানীগুলো ঔষধ সরবরাহ কওে সহায়তা করতে পারে। মহামারি ঠেকাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে টেলিমেডিসিন সেবাকেও জরুরি ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

আজকের ‘কীনোট স্পিকার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল হামিদ। উপর্যুক্ত কীনোট পেপারটি তিনি তুলে ধরেন। আজকের “মিট দ্য প্রেস” অনুষ্ঠানে ‘বিদেশি অতিথি’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, স্কুল অব হেলথ সাইন্সসেস-এর সিনিয়র লেকচারার ড. কিং¯েø এগো। তিনি লাইভ সেশনে যুক্ত থেকে ডায়ালগ শেষে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে টেলিহেলথ-এর গুরুত্ব অপরিসীম। এটা মূলত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা। এ সেবা জনগণের নিকট পৌঁছে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য আহŸান জানান। যেহেতু টেলিহেলথ সেবা নেয়ার জন্য স্মার্টফোন থাকাটা জরুরি যা সব জনগণের জন্য সহজলভ্য নয়।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি-এর সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর আবির। এ ছাড়াও আজকের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর পরিচালক এবংবেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এর এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

তিনি তাঁর বক্তব্যে ডিজিটাল হেলথ ও মেডিসিন-এর গুরুত্ব বৈশ্বিক ও বাংলাদেশ-এর বাস্তবতায় করণীয় এবং বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে ডিজিটাল হেলথ নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পলিসি তৈরি করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট পক্ষকে কাজ করার জন্য আহŸান জানান, যা এখন সময়ের দাবি। ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড ও স্ক্যান্ডেনেভিয়ান রাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোতে থেকে অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বর্তমান সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ দেন। আজকের অনুষ্ঠানে ‘ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন’ করেছেন এমিনেন্স, বাংলাদেশ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ শামীম হায়দার তালুকদার। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় ও কোভিড-১৯-এর কারণে ডিজিটাল হেলথ ও মেডিসিন নিয়ে কাজ করা উচিত। যেহেতু স্বাস্থ্যই হলো আমাদের মূলচাবি কাঠি। -প্রেস রিলিজ

সর্বশেষ সংবাদ

নিহত শিক্ষার্থী সাঈদের পরিবারকে সহায়তা দিয়েছে বেরোবি

কোটাবিরোধী আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বেরোবি...

মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেখাতে হবে

মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,তাদের সব সময় সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া উচিত,যাতে করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারা গর্ববোধ...

ব্যবসায়ীরা ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’র দ্রুত বাস্তবায়ন চায়

বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম আমদানি-রপ্তানি সহজ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন । সোমবার...

মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমায় ইউসিবি শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা সাফল্য

সর্বশেষ মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা পরীক্ষায় শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশে মোনাশ কলেজের একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি)। বিশ্বজুড়ে মোনাশের ৩০টি অংশীদারের মধ্যে ইউসিবি-ই...

যমুনা ব্যাংক অন্যতম সেরা জলবায়ু ফোকাস ব্যাংক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং গ্রীনটেক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ২৪তম জাতীয় নবায়নযোগ্য শক্তি সম্মেলন এবং গ্রীন এক্সপো ২০২৪-এ যমুনা ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা জলবায়ু ফোকাস ব্যাংক ও...

জনপ্রিয় সংবাদ

সিভি এবং চাকুরী আবেদনের কিছু প্রয়োজনীয় টিপস

মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করার বদৌলতে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখে পরতে হয়। যার অধিকাংশই আসে সিভিকে কেন্দ্র করে। আমি সিরিজ আকারে সিভি এবং ক্যারিয়ার...

মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরাগ থানা ছাত্রলীগ

তুরাগ থানা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরিফ হাসান জানায়, গত ১১-০৮-২০২০ তারিখে ’আমার প্রাণের বাংলাদেশ’ নামক পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ‘রাজধানীর উত্তরা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান...

 ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট পদে নিয়োগ জোরদার করলো মেটলাইফ বাংলাদেশ

ফিনান্সিয়াল অ্যাসোসিয়েট হিসেবে যোগদানে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ডিজিটাল নিয়োগ প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশে। অনন্য এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আগ্রহী প্রার্থীদেরকে বাসা থেকেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে...

২৩ কোটি বছরের পুরনো হিরকখণ্ড উদ্ধার!

দেখতে কি সুন্দর হিরকখণ্ডটি । শুক্রবার রাশিয়ার অ্যানাবার নদীর ধারে আলরোসার এবেলিয়াখ খনি থেকে উদ্ধার হয় এই হিরক খণ্ডটি। এখনও স্থির হয়নি হিরকখণ্ডটি পালিশ...