গতকালও ৪১ মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতকালও মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৪৬ জন। গতকালের চেয়ে ২৪৯ জন কম সুস্থ হয়েছেন। গতকাল সুস্থ হয়েছিলেন ২ হাজার ৯৯৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫০ জন।
আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৬৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৫৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৬৫ জন বেশি শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল ১৪ হাজার ৭৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৮২৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৬ লাখ ৯০ হাজার ১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৪২ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ৭৯২ জনের। গতকালের চেয়ে আজ ৮৫০টি নমুনা বেশি সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৯৪টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৫৯ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ৭৭৫ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৭৮৪টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে গত ২৪ ঘন্টায় ১১ দশমিক ১১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্ত ১৯৫৫ দশমিক ১২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৪ ঘন্টায় প্রতি ১০ লাখে ১৬ দশমিক ১২ জন, এ পর্যন্ত১৩৭১ দশমিক ৩৫ জন এবং ২৪ ঘন্টায় প্রতি ১০ লাখে মারা গেছেন শূন্য দশমিক ২৪ জন, এ পর্যন্ত মৃত্যু ২৭ দশমিক ২১ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ, আর ১০ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ৬১৩ জন; ৭৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ, নারী মারা গেছেন ১ হাজার ২১ জন। শতকরা হারে ২২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনই হাসপাতালে মারা গেছেন
২৪ ঘণ্টা মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন এবং ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে মারা গেছেন ১৯ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২০ জন; যা শূন্য দশমিক ৪৩ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪০ জন; যা শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১০৯ জন; যা ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৭৯ জন; যা ৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৬০৯ জন; যা ১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ২৫৮ জন; যা ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৩১৯ জন; যা ৫০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ২৩৯ জন; যা ৪৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮৪ জন; যা ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩১১ জন; যা ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৩৯৩ জন; যা ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৭৮ জন; যা ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২০৯ জন; যা ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২২০ জন; যা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১০০ জন; যা ২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৬ হাজার ১০৫টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৯৯ জন ও শয্যা খালি আছে ৪ হাজার ১০৬টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩০৭টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি রোগী আছে ১৮৯ জন ও শয্যা খালি আছে ১১৮টি। চট্টগ্রাম মহানগরীতে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭৮২টি, ভর্তিকৃত রোগী ১৮১ জন ও শয্যা খালি আছে ৬০১টি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৩৯টি, আইসিইউ শয্যায় ভর্তি আছে ১৮ জন ও শয্যা খালি আছে ২১টি। সারাদেশে অন্যান্য হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ৭ হাজার ৪২৬টি, সাধারণ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগী ১ হাজার ১৭৪ জন ও শয্যা খালি আছে ৬ হাজার ২৫২টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২০১টি ও আইসিইউ শয্যায় ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা ৮৮ জন ও শয্যা খালি আছে ১১৩টি । সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৩১৩টি, রোগী ভর্তি আছে ৩ হাজার ৩৫৪ জন এবং শয্যা খালি আছে ১০ হাজার ৯৫৯টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা সংখ্যা ৫৪৭টি, রোগী ভর্তি আছে ২৯৫ জন এবং খালি আছে ২৫২টি। সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১৩ হাজার ১১টি। সারাদেশে হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা সংখ্যা ৪৯০টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ১৭৩টি।
০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩৭৯১১৩৯ এবং ০১৩১৩৭৯১১৪০ এই নম্বরগুলো থেকে হাসপাতালের সকল তথ্য পাওয়া যাবে। কোন হাসপাতালে কতটি শয্যা খালি আছে। কত রোগী ভর্তি ও কতজন ছাড় পেয়েছেন এবং আইসিইউ শয্যা খালি আছে কি না এই ফোন নম্বরগুলোতে ফোন করে জানা যাবে।
গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হওয়া ২ হাজার ৭৪৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১ হাজার ৪৬২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯৮ জন, খুলনা বিভাগে ৩০৩ জন, বরিশাল বিভাগে ৭৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩০০ জন, সিলেট বিভাগে ১৩৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৩ জন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৩৫৫ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৬৭২ জন। আইসোলেশনে এখন পর্যন্ত যুক্ত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৮৮ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৭১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪১৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৫৬ জন। আর ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৯৪৬ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১১ হাজার ২৫২ জন। এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৩৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫০ হাজার ৭১৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ হটলাইন নম্বরে ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৯২টি, ৩৩৩ এই নম্বরে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৯০২টি এবং আইইডিসিআর’র হটলাইন ১০৬৫৫, এই নম্বরে ফোন এসেছে গত ২৪ ঘন্টায় ২৭৮টি। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টায় ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে ৫৩ হাজার ২৭২টি। এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোনকল এসেছে ২ কোটি ২ লাখ ২ হাজার ৫৫ হাজার ৩৫৬টি।
করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৪৯৮ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিয়ার’র হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া ২৪ ঘন্টায় কোভিড বিষয়ক টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৫ হাজার ৮৮ জন। এ পর্যন্ত শুধু কোভিড বিষয়ে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করেছেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৩১৫ জন। প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক ও ১০ জন স্বাস্থ্য তথ্যকর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৭৫২ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৯ লাখ ১৩ হাজার ৪২ জনকে স্কিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৮ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৭ হাজার ৮৯ জন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী সারাবিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬০ জন এবং এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন
সুত্রঃবাসস।