সারা দেশের নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, নৌ-শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা।
এর আগে গত শনিবার (১৭ অক্টোবর) মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। বক্তারা বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে নৌযান শ্রমিকরা কাজ করেছেন। অথচ চার মাস পেরোলেও তাঁদের প্রতিশ্রুত খাদ্যভাতা দেওয়া হয়নি। এমনকি সরকার বা মালিকের পক্ষ থেকে একটি ধন্যবাদও জোটেনি।
১১ দফা দাবি না মানার কারণে ১৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ভারতগামী নৌযানসহ বালুবাহী, তেলবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করছেন পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকরা।
নৌযান শ্রমিকদের অন্যতম দাবিগুলো হলো ভারতগামী নৌযানে শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাসের ব্যবস্থা করা, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠন করা, মৃত্যুকালীন ভাতা ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ ও নৌযান শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বন্ধ করা।
নৌযান শ্রমিকরা বলছেন, মার্চে দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে খাদ্যভাতা দেওয়ার। অথচ কোনো নৌযান শ্রমিক কোনো রকমের খাদ্যভাতা পাননি। শ্রমিকদের নিয়োগপত্র হয়নি, কল্যাণ ফান্ড নেই। কেবল প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিশ্রুতি কার্যকর বা বাস্তবায়ন হয় না।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, এই ১১ দফা দাবি ২০১৮ সালে প্রথমে তোলা হয়। এরপর নৌযানশ্রমিকেরা গতবছর তিনবার এই দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন। প্রতিবারই সরকার ও মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। শ্রমিকরা বারবার আন্দোলনে নেমেছেন, কিন্তু তাঁদের ভাগ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই জোটেনি।
সূত্র:কালের কন্ঠ