কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দেশের ৪ কোটি ২০ লাখ শিশু স্কুলে যেতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে, ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকাসহ দেশের কিছু সংখ্যক স্কুল বিভিন্ন ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা শুরু করে।
অনলাইনে শিক্ষা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নতুন একটি ধারণা। তাই, স্কুলগুলোকেও এক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তা সত্তে¡ও, স্কুলগুলো প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু সমস্যা অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে, শিক্ষকরা অংশগ্রহণম‚লক ক্লাস পরিচালনার জন্য নতুন উপায় খুঁজে বের করছে। তবুও, অনলাইনে শিক্ষা বিষয়ে নিয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে অনেকের মাঝে এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে।
এ নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার লক্ষ্যে, স¤প্রতি, ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা অনলাইন শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ‘প্যারেন্ট’স অনলাইন প্রোগ্রাম সার্ভে রিপোর্ট’ শীর্ষক একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। যেখানে অনলাইন শিক্ষা নিয়ে অভিভাবকদের ২২টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, অভিভাবকদের ৯১ শতাংশ অনলাইন লার্নিং নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। কেননা, এই বৈশ্বিক মহামারির সময় যেখানে বিশ্বের অনেক শিশুই শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে আছে, তা সত্তে¡ও তাদের সন্তানরা অনলাইন লার্নিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে পারছে। বেশিরভাগ অভিভাবকই (৭৬ শতাংশ) মনে করেন, তাদের সন্তানরা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম উপভোগ করেছে এবং অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের এক্ষেত্রে উৎসাহিত করছেন।
এ নিয়ে ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার অধ্যক্ষ মধু ওয়াল বলেন, ’অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। স্কুল পুনরায় চালু হওয়ার পর পুরোদমে ক্লাস শুরু হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা ভবিষ্যতেও অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখবো।
ক্লাসে পাঠদান কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের; যেনো আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কুল শেষ হওয়ার পর শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় না যেতে হয়। আমাদের দক্ষ কারিগরি দল ও অসাধারণ শিক্ষকবৃন্দের কারণে স্বল্প সময়ে এটি সম্ভব হয়েছে এবং সর্বোচ্চ মানের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা শতভাগ সাফল্য অর্জন করেছি বলে আমি মনে করি।’
জরিপে উত্তরদাতা অভিভাবকদের ৮৫ শতাংশ মনে করেন, স্কুলটির অনলাইন শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে কমিউনিটি সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টিতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে মধু ওয়াল বলেন, ‘এটি আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো এবং বিষয়টি আমাদের জন্য গুরুত্বপ‚র্ণ। আমরা চেয়েছি আমাদের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকবে এবং তারা যে একটি কমিউনিটির অংশ তা সবসময় অনুভব করবে। আমরা কখনওই চাই না আমাদের শিক্ষার্থীরা কখনোই নিজেকে একা মনে করুক, বিশেষ করে এ সঙ্কটের সময়।’
ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকা এ প্ল্যাটফর্ম থেকে কীভাবে কার্যকর শিক্ষা গ্রহণ করা যাবে তা নিয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় নানা রকম নির্দেশনা দিয়েছে। স্কুলটি নিয়মিতভাবে অনলাইন ক্লাসগুলোর অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আইটি সহায়তাযোগে হেল্প ডেস্ক স্থাপন এবং শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসের সময়স‚চিরও সমন্বয় করেছে। এর ফলে, অনলাইন ক্লাসগুলোতে ৯০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। -প্রেস রিলিজ