লিওনেল মেসি শেষ পর্যন্ত যদি বার্সেলোনা ছাড়েনই, কোন দল পেতে পারে তাঁকে? আর্জেন্টাইন তারকাকে পাওয়ার দৌড়ে আপাতত শোনা যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটি, ইন্টার মিলান ও পিএসজির নাম। মেসিকে পেতে ইন্টারের মরিয়া ভাবের কথা এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার খবরে এসেছে। কিন্তু পিএসজি ও ম্যানচেস্টার সিটির টাকার কাছে কি কুলিয়ে উঠবে সিরি ‘আ’র দলটি! তা ছাড়া সিটি নাকি এরই মধ্যে ফিফার আর্থিক সংগতির নিয়ম না ভেঙে কীভাবে মেসিকে পাওয়া যায় সেই ছকও কষতে শুরু করে দিয়েছে।
সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমটা একদমই ভালো কাটেনি বার্সেলোনার। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর এবারই প্রথম শিরোপাহীন একটি মৌসুম কাটাতে হয়েছে ন্যু ক্যাম্পের দলটিকে। এটা নিয়ে বেশ হতাশ মেসি। বিশেষ করে বায়ার্নের কাছে ৮-২ গোলে উড়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বার্সার অধিনায়ক। এ ছাড়া জোসেফ মারিয়া বার্তোমেউয়ের বার্সা বোর্ডের ওপরই খুব একটা সন্তুষ্ট নন মেসি। সব মিলিয়ে মেসির বার্সা ছাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই।
‘আমরা এ বিষয়ে সচেতন থাকব। কিন্তু দলের শক্তি বাড়াতে যা করা দরকার সেটা করব। এরই মধ্যে আমরা দুটি চুক্তি করেছি—নাথান একে ও ফেরান তোরেসের সঙ্গে। আরও খেলোয়াড় নেব আমরা। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাব। তবে এই মুহূর্তে দলবদলের বাজারের বাস্তবতা নিশ্চয়ই আমাদের মাথায় থাকবে।’
খালদুন আল মুবারক, ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ারম্যান
বার্সেলোনার সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসলেও নতুন চুক্তি করা নিয়ে মেসির দিক থেকে কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। এ কারণে তাঁর বার্সেলোনা ছেড়ে যাওয়ার গুঞ্জন আরও বেশি করে ডালপালা মেলছে। কিন্তু মেসিকে পাওয়ার জন্য যেকোনো দলকেই দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে—এটা না বললেও চলছে। বার্সার সঙ্গে চুক্তিতে তাঁর রিলিজ ক্লজের অঙ্কটা যে বেশ বড়—৭০ কোটি ইউরো! তাঁকে পেতে হলে হয়তো ট্রান্সফার ফির রেকর্ডও গড়তে হতে পারে।
মেসিকে পেতে আগ্রহ আছে ম্যানচেস্টার সিটির। মেসিও হয়তো বার্সেলোনা ছাড়লে সিটিতেই যেতে চাইবেন। ক্লাবটির দায়িত্বে আছেন বার্সেলোনায় তার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা। কিন্তু মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকা সিটিকে ভাবতে হবে ফিফার আর্থিক সংগতির বিষয়টি। এর আগে যে আর্থিক অসংগতি সংক্রান্ত নীতি ভঙ্গ হওয়ায় ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল দলটিকে। উয়েফার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার খড়্গ নেমে এসেছিল তাদের ওপর। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত মাসে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
এখন মেসিকে দলে পেতে আবার আর্থিক সংগতির নীতি ভঙ্গের শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সিটি সে ব্যাপারে সচেতন। সরাসরি মেসির কথা না বললেও এসব নিয়ে ভাবার কথা বলেছেন ম্যান সিটির চেয়ারম্যান খালদুন আল মুবারক। তাঁর কথা, ‘আমরা এ বিষয়ে সচেতন থাকব। কিন্তু দলের শক্তি বাড়াতে যা করা দরকার সেটা করব। এরই মধ্যে আমরা দুটি চুক্তি করেছি—নাথান একে ও ফেরান তোরেসের সঙ্গে। আরও খেলোয়াড় নেব আমরা। নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাব। তবে এই মুহূর্তে দলবদলের বাজারের বাস্তবতা নিশ্চয়ই আমাদের মাথায় থাকবে।’