অতিবর্ষণ জনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় সাম্প্রতিক ৩৩টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরনের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন চালের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯ হাজার ২২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ এক তথ্যবিবরনীতে বলা হয়, বন্যাকবলিত জেলা প্রশাসনসমূহ থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে দুই কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা ।
শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ১০ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৬২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা । গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং বিতরণের পরিমাণ এক কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার টাকা । শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ৫২ হাজার এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৯২২ প্যাকেট।
এছাড়াও ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩০০ বান্ডিল এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১০০ বান্ডিল, গৃহ মঞ্জুরি বাবদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে নয় লাখ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে তিন লাখ টাকা ।
বন্যাকবলিত জেলাগুলো হচ্ছে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ,ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ ।
বন্যাকবলিত উপজেলার সংখ্যা ১৫৯ টি এবং ইউনিয়নের সংখ্যা ১০১৯ টি । পানিবন্দি পরিবার সংখ্যা ১১ লাখ ১৪ হাজার ৫০৮ টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত লোক সংখ্যা ৫৪ লাখ ৪০ হাজার ৩৩১ জন । বন্যায় এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৩ জন। এরমধ্যে জামালপুরে ১৫ জন, লালমনিরহাটে ১ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, সিলেটে ১ জন, কুড়িগ্রামে ৯ জন, টাঙ্গাইলে ৪ জন, মানিকগঞ্জে ২ জন, মুিন্সগঞ্জে ১ জন, গাইবান্ধায় ১ জন, নওগাঁয় ২ জন, সিরাজগঞ্জে ২ জন এবং গোপালগঞ্জে ২ জন ।
বন্যা কবলিত জেলাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এক হাজার ৫৩৩ টি। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত লোক সংখ্যা ৬৩ হাজার ৪০৯ জন। আশ্রয়ন কেন্দ্রে আনা গবাদি পশুর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৪৬ টি। বন্যাকবলিত জেলাসমূহে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৯৬৭ টি এবং বর্তমানে চালু আছে ৩৯৯ টি।
- বাসস