পেরু বুধবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের নিবন্ধন শুরু করেছে। কেয়েটানো হেরেদিয়া এবং সান মার্কোস ইউনিভার্সিটি তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী যাদের বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছর এবং ভাইরাস সংক্রমিত নয়, এমন স্বেচ্ছাসেবীদের ভ্যাকসিন ডোজ গ্রহনের জন্য মনোনীত করবে।
সান মার্কোস ইউনিভার্সিটির রেক্টর অরেস্টেস ক্যাচে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রতিটি ইউনিভার্সিটি ৩ হাজার করে স্বেচ্ছাসেবী নির্বাচিত করবে।
চীনা কোম্পানী সিনোফার্ম এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে। ইনজেকশনের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পেরুভিয়ান গবেষকরা বলেছেন, ভাইরাসটির উহান এবং বেইজিং দুই ধরণের প্যাটার্নের ও একটি প্লেসবো পরপর স্বেচ্ছাসেবীদের পুস করা হবে।
টিভি চ্যানেল এন-কে ক্যাচে বলেন,“প্রকল্পের পরিচালনা অংশ বাস্তবায়নে চীন থেকে ৩৮ সদস্যের একটি কারিগরি টিম কয়েক দিনের মধ্যে পেরু আসছেন। ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ট্রায়াল চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছেন, তার দেশ চীন, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির
উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেবে। পেরুর জনসংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ, মহামারিতে মৃত্যুর হিসাবে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পরে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পেরু। দেশটিতে মোট ২৮ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছে, নিবন্ধিত আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ।