স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধীরা এই চক্রান্তে জড়িত।
বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপির মহাসচিব ড. সুফি সাগর সামস্ আজ পার্টির পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ইফতার মাহফিলে জাতীয় নির্বাচন আসন্ন হলেই নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করা হয়। দেশ একটি জাতীয় সংকটের মুখোমুখি হয়। প্রায় দীর্ঘ তিন যুগ ধরে চলছে ভোটাধিকারের আন্দোলন-সংগ্রাম। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও তাদের সমমনা দলগুলোর দুর্বার আন্দোলনের চাপের মুখে ১৯৯৬ সালে বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে বাস্তবায়ন করেছিল। তখন শুধুমাত্র সরকারি দলের সংসদ সদস্যদের ভোটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হয়েছিল তা নয়; বরঞ্চ সংসদের এক তৃতীয়াংশ সদস্যদের ভোটে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পাস হয়েছিল। তবে কিছু ত্রুটি ছিল। নিরপেক্ষ কোন ব্যক্তি নেই। আর অনির্বাচিত সরকার সংবিধানের মূল ভিত্তি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এই দুটি ত্রুটির কারণে সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, বড় দুটি রাজনৈতিক জোট ইচ্ছা করলে ত্রুটিমুক্ত একটি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা তৈরি করতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেননি। এই সুযোগে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়েছে। তারা নির্বাচন বানচাল করে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
সুফি সামস্ বলেন, বড় দুটি জোটের কাছে অনুরোধ, ষড়যন্ত্রকারিদের ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিন। বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপির “নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার” এর রূপরেখাটি বিবেচনা করুন। নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার বাস্তবায়ন করা হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে দেশকে রক্ষা করুন।