নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা করেছে যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃতরা হলো ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ মুন্সি বাড়ির নুরুল হকের ছেলে জাহিদ হাসান (২৭), মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানের কালিনগর এলাকার মৃত নুর ইসলামের ছেলে রকিব (২৫) সে চর কাশিপুর দিঘলীপট্টি এলাকার বসবাস করে।
শরীয়তপুরের নড়িয়ার মৃত খলিল মোল্লার ছেলে বোরহান (২২) সেও চর কাশিপুর এলাকার শাহিনের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ফতুল্লার বক্তাবলী নদীরঘাটে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
হত্যাকান্ডের শিকার চালকের নাম বেলাল হোসেন (৩০)। তিনি রংপুর জেলার কাদিরাবাদ গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে। তিনি ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার শাহী মসজিদের পাশে হালিম মিয়ার বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন। পুলিশ নিহতের লুন্ঠিত অটোরিকশা, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া থেকে রোববার রাত সাড়ে ১০টায় যাত্রী বেশে দূর্বৃত্তরা এক অটো রিকশা ৯০ টাকায় ভাড়া করে ফতুল্লার বক্তাবলি ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে নেয়ার পর অটো রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক বেলাল হোসেনকে ধারালো চাকু (সুইচ গিয়ার) দিয়ে গলায়, ঘাড়ে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
এরপর বেলাল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার অটোরিকশাটি নিয়ে পালানোর সময় বেলালের এক বন্ধু তা দেখে তাদের পথ রোধ করে বেলালের বিষয়ে জানতে চায়। এসময় তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এঘটনায় বেলালের বন্ধু ডাক-চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ওই তিন ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেলালের নিথর দেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বেলাল। ওই সময় পুলিশ নিহতের লুন্ঠিত অটোরিকশা, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।