জাতীয় অধ্যাপক এবং দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ড. আনিসুজ্জামান এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, (বেরোবি) রংপুর-এর মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে, ২০২০) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এক শোক বিবৃতিতে বেরোবি ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনীতি ভাবনার ক্ষেত্রে চেতনার বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছেন প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী এই শিক্ষাবিদ। দেশের প্রতিটি সংকটে ড. আনিসুজ্জামানের মন্তব্য ও ভূমিকা দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করেছে। ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, তাঁর প্রয়াণে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। শোক বাণীতে বেরোবি ভাইস-চ্যান্সেলর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রæয়ারি। তিনি ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষায় অবদানের জন্য তাঁকে ১৯৮৫ সালে দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে ভারত সরকার তৃতীয় সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করে। সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার সর্ব্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করে।
তিনি ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ^বিদ্যালয় থেকে ডি. লিট ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ^বিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি