আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে চলমান গাম্বিয়ার দায়ের করা রোহিঙ্গা গণহত্যা সংক্রান্ত বহুল আলোচিত মামলায় যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। সম্প্রতি কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাসোঁয়া ফিলিপে শ্যাম্পে এবং ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এক যৌথ বিবৃতিতে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। উল্লেখ্য, সরাসরি যুক্ত না থাকলেও দেশ দু’টি গাম্বিয়ার দায়ের করা গণহত্যা বিষয়ক মামলার সূচনা থেকে নৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক মামলায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের আগ্রহ প্রকাশের মধ্য দিয়ে মামলাটি গতি পাবে। বিবৃতিতে মন্ত্রীদ্বয় বলেন, গণহত্যা কনভেনশন মেনে নেয়া দেশগুলির গণহত্যা ঠেকানোই শুধু উদ্দেশ্য নয় বরং যারা এর জন্য দায়ী তাদেরকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনাটাও তাদের দায়িত্ব। গাম্বিয়াকে সমর্থন দিতে গণহত্যা কনভেনশন মেনে চলা অন্য দেশের প্রতিও আহ্বান পূনব্যক্ত করে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস।
মিয়ানমারের গণহত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে গাম্বিয়া অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ করেছে উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, এই কাজে সহায়তা করাকে দায়িত্ব মনে করে কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আইনী বিষয়ে দেশ দুইটি সহায়তা করবে এবং বিশেষ করে যৌন নিপীড়ন ও নারী নির্যাতন প্রশ্নে বিশেষ ফোকাস থাকবে।
স্মরণ করা যায়, রাখাইনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর চালানো বর্মী গণহত্যার বিচারে গাম্বিয়া গত বছর আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করে। মিয়ানমারকে পক্ষ করে দায়ের করা ওই মামলার উভয় পক্ষের শুনানির পরে গত জানুয়ারি মাসে আদালত একটি অন্তবর্তী আদেশ দেন। সেই আদেশে মিয়ানমারকে গণহত্যা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই সঙ্গে রাখাইন পরিস্থিতির উন্নয়ন বিষয়টি রিপোর্ট দাখিল করতে টাইমলাইন বেধে দেয়া হয়।