গত মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে স্থবির হয়ে পরে বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে যেসব মেগা প্রজেক্টের কাজ আটকে ছিল, তাতে গতি আনতে আগামীকাল চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সেসময় দেশব্যাপী কঠিন বাধানিষেধ আরোপ করে। এতে থেমে যায় মেগা প্রজেক্টগুলো কাজও। গত ৩০শে মে সরকার আংশিকভাবে লকডাউন তুলে দিলে নির্মানখাতে গতি ফিরে আসার আশা করা হয়েছিল। তবে প্রায় আড়াই মাসের লকডাউনে বড় প্রকল্পগুলো একেবারেই থমকে যায়। এসব প্রজেক্টে কাজ করা বিদেশি শ্রমিক ও ইঞ্জিনিয়াররাও সময়মতো কাজে যোগ দিতে ব্যর্থ হন। তাদের নিজেদের দেশেও লকডাউন থাকায় এবং যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় তারা সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারেননি।
তবে এখন অর্থনীতি পুরোপুরি চালু করে দেয়া হয়েছে। সরকারও এখন পুরোদমে মেগা প্রজেক্টগুলো এগিয়ে নিতে চাচ্ছে। এ নিয়ে এরইমধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে সরকার। কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে প্রজেক্ট বাস্তবায়ন এবং পিছিয়ে পরা সময় পুষিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে উভয় পক্ষের সঙ্গে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের ইকোনোমিক রিলেশনস ডিভিশন (ইআরডি) ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে ভারতের বিনিয়োগে বাংলাদেশে যেসব প্রজেক্ট রয়েছে তা বাস্তবায়নের গতিবৃদ্ধি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ঢাকাস্থ চীন দূতাবাসের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে মেগা প্রজেক্টগুলোকে কীভাবে পূর্বেকার মতো গতিতে ফিরিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।আ
লোচনায় পদ্মা রেল প্রজেক্ট, পাইপলাইন প্রজেক্ট, কর্নফুলি নদীর টানেল নির্মান ও বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্ক উন্নয়নের মতো কিছু প্রজেক্টকে আলাদা জোর দেয়া হবে। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশের ২৭টি প্রকল্পে কাজের বিষয়ে চুক্তি হয়। আগামীকালের আলোচনায় সেসব প্রজেক্টের মধ্যে থেকেই কয়েকটির বাস্তবায়নের গতিবৃদ্ধি নিয়ে কথা হবে বলে জানা গেছে।