নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগ এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত বুধবার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ (রোববার) আদালতে হাজির করে পুনরায় তাদের পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাদের দুজনকে দুই দিনের করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। গত সোমবার মাদক সেবনের দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফানকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পাশাপাশি অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। গত মঙ্গলবার নৈতিক স্খলনজনিত এবং অসদাচরণের অভিযোগে তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খান স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন। ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের স্টিকারযুক্ত গাড়ি।
ওয়াসিফ নিজের পরিচয় দিলেও গাড়ি থেকে নেমে একজন গালাগাল করে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। এরপর গাড়িটি কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড সিগন্যালে দাঁড়ালে ওয়াসিফ মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়ে গাড়িটির জানালায় নক করেন। তখন গাড়ি থেকে লোকজন নেমে ওয়াসিফকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। তাদের বিরুদ্ধে পরদিন সকালে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন ওয়াসিফ।
সূএ:যুগান্তর