আকবর আলীরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। সেই রেশ কেটে গেছে অনেক আগেই। কাল আকবর নিজেই বললেন, এবার সামনে তাকানোর পালা। বড়দের ক্রিকেট যে সহজ নয় সেটা বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো আকবরের সাম্প্রতিক ফর্মই বলে দেয়।
ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে আকবরের ৭৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংসের পরই বিসিবি একাদশের হয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই দিনের ম্যাচে খেলেছিলেন আকবর। বিকেএসপির সেই ম্যাচটিতে ১ রানে আউট হন তিনি। প্রিমিয়ার লিগে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ৩১ রান করেন গাজি গ্রুপের হয়ে। এরপর করোনার লম্বা বিরতি। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে আকবরের ক্রিকেটে ফেরা। তামিম একাদশের হয়ে দুই ইনিংসে ব্যাট করেন। ২ ও ১ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে সিনিয়র পর্যায়ের ক্রিকেটের পার্থক্যটা প্রেসিডেন্টস কাপ খেলে ভালোই আঁচ করতে পেরেছেন আকবর।
ওটা (বিশ্বকাপ জয়ের) অনেকদিন হয়ে গেছে, প্রায় ৮-৯ মাস হয়ে গেছে। ওটা যখন মনে হয় তখন অনেক ভালো লাগে, কিন্তু আমার মনে হয়না যে কেউ এখন এটা নিয়ে কেউ ভাবে আকবর আলী, বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক প্রেসিডেন্টস কাপের পর আকবরসহ মোট ২৬ ক্রিকেটার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমিতে হাই পারফরম্যান্সের ক্যাম্পের ব্যস্ত আছেন। আজ ক্যাম্পের অনুশীলন শেষে আকবর বলছিলন, ‘আমার মনে হয় যে পার্থক্যটা হলো তীব্রতায়। আর এখানে প্রতিযোগিতাটা একটু বেশি। এখানে বয়সের সীমাবদ্ধতা কম, সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলছি। এখানে আমাদের আরও প্রতিদ্বন্দ্বী হতে হবে।’ সিনিয়রদের ক্রিকেটের প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যে এসে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের গর্ব নিয়ে বসে থাকলে তো চলে না! আকবররা সেটিও মাথায়ও রাখেননি। বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আজ তা-ই বলছিলেন, ‘ওটা (বিশ্বকাপ জয়ের) অনেকদিন হয়ে গেছে, প্রায় ৮-৯ মাস হয়ে গেছে। ওটা যখন মনে হয় তখন অনেকভালো লাগে, কিন্তু আমার মনে হয়না যে কেউ এখন এটা নিয়ে কেউ ভাবে। এখন সামনের দিকে তাকাতে হবে।’ ভবিষ্যতে ভালো করার একটা অস্ত্র ভালোই শিখে গেছেন আকবর। মানসিকভাবে শক্ত এই তরুণ সিনিয়র ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত যে ব্যর্থতা, সেটিকে ব্যবহার করছেন হাতিয়ার হিসেবে। কঠিন অভিজ্ঞতা যে অনেক কিছুই শেখাতে পারে, সেটা বুঝতে পারছেন আকবর। তাঁর দলে তামিম ইকবালের মতো বড় তারকা ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছুই দেখেছেন, শিখেছেন। সেগুলোই নিজের খেলায় যোগ করতে চান আকবর মিরপুরে একাডেমি মাঠে হাইপারফরম্যান্স দলের ক্যাম্পটা উৎসবমুখরই!ছবি: প্রথম আলো ‘ব্যক্তিগতভাবে একটা কঠিন অভিজ্ঞতা হয়েছিল কিন্তু অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমরা এক সপ্তাহের বেশি সময় ছিলাম একসঙ্গে, অনেক ইতিবাচক জিনিস শিখতে পেরেছি। আমি তামিম ভাইয়ের দলে ছিলাম। তামিম ভাই, মিঠুন ভাই, বিজয় (এনামুল হক) ভাই…উনাদের সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে’—বলেছেন আকবর। তামিমদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তরুণ আকবর, ‘তাঁদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব জানার চেষ্টা করেছি। তাঁরাও অনেক ভালো ভালো আইডিয়া দিয়েছেন। আশা করি তাঁদের কথাগুলো কিংবা তাঁদের সে অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারব।’ বড়দের ক্রিকেটের প্রস্তুতির জন্য আকবরদের রাখা হয়েছে হাই পারফরম্যান্সের ক্যাম্পে। নতুন কোচ টবি রেডফোর্ড কিছুদিন ধরেই কাজ করছেন দলটির সঙ্গে। এ কয়দিনে লাল বল ক্রিকেটে তরুণদের ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে দেখা গেছে এই ইংলিশ কোচকে। আকবর বলছিলেন, ‘এই দুদিন যে জিনিসটার উপর কোচ জোর দিলেন তা হলো আমার ব্যাটিং। ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন, সবার ব্যাটিং ভিডিওগুলো দেখছেন। সে ভিডিওগুলো দেখে হয়তো আমাদেরকে একটা ধারণা দেবেন যে আমাদের এটা উন্নতি করা দরকার বা এই জায়গায়গুলোয় নজর দেওয়া দরকার।