দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানমকে তার সরকারি বাসভবনে ঢুকে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ইউএনওসহ আহত হয়েছেন তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখ। আহত নির্বাহী অফিসারকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে এবং তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাত আড়াইটা থেকে ৩টার দিকে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ২য় তলার ল্যাট্রিনে ভেন্টিলেটর দিয়ে আনুমানিক দুইজন ভেতরে ঢুকে পড়ে। প্রবেশকারীরা প্রথমেই ল্যাট্রিন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের শোবার ঘরে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত শুরু করে। এক পর্যায়ে পাশের রুমে থাকা তার বাবা মেয়েকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। দুর্বৃত্তরা তাকেও হাতুড়ি পেটা করলে তিনি জ্ঞান হারান।
অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকেন ইউএনও’ও। পাশে থাকা তিন বছরের শিশু পুত্রের আর্তনাদে নাইটগার্ড বের হওয়ার চেষ্টা করলে দেখে ভিতরের দরজা তালা দেওয়া। এরপর তার চিৎকারে পাশের ভবনে অবস্থানরত বিভিন্ন অফিসের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার ও হাসপাতালে পাঠান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাফে খন্দকার শাহানসা। এখন পর্যন্ত জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তোফায়েল হোসেন ভুঁইয়া জানান, ইউএনও এর মাথার বাম দিকে বেশি আঘাত লেগেছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। শরীরের ডান দিকে অবস হয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।